আম্ফানে উপড়ে পড়া বটবৃক্ষের পাশে ‘সবুজ বরগুনার’ বটের চারা রোপন

by

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে উপড়ে পড়া সেই বটবৃক্ষটির পাশে নবনির্মিত বেড়িবাঁধের ঢালে আরো পাঁচটি বটের চারা রোপন করেছে সবুজ বরগুনা নামের স্থানীয় একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গোলবুনিয়া এলাকায় নবনির্মিত বেড়িবাঁধে ৮০ হাত পর পর পাঁচটি বটের চারা রোপন করে তা সংরক্ষণের জন্য বাঁশ ও জাল দিয়ে রক্ষাবেড়ি করে দিয়েছে সংগঠনটি। 

এ সময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী আরিফ খানসহ সাধারণ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে এখানে দেশীয় প্রজাতির তাল ও খেজুরসহ আরও অনেক ব্ক্ষৃরোপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান সবুজ বরগুনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী আরিফ খান।

সবুজ বরগুনার এমন ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ দেখে ভাঙনকবলিত গোলবুনিয়া এলাকার একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেরাও নেমে পড়ে বটগাছ লাগানোর কাজে। তারাও তাদের উদ্যোগে বটের চারা যোগাড় করে সেখানে একাধিক বটবৃক্ষ রোপন করেন। স্বেচ্ছায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সবুজ বরগুনার বৃক্ষরোপনের কাজেও।

স্থানীয় এলাকাবাসী কনু ফকীর, জলিল সিকদার, মালেক সিকদার, নজরুল ইসলাম, নূরুল আমিন , বাবুল সিকদার এবং স্বপন হাওলাদারসহ অনেকেই এসব বটগাছ লাগানোর কাজে সহযোগিতা করেন।

এ সময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বছরের পর বছর ধরে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে এ এলাকার শতশত মানুষ।  তারা আরো জানান, এখানে নদীর পাড়ে আগে শতশত গাছ ছিল। নতুন বেড়িবাঁধ তৈরির জন্য নির্বিচারে সেসব গাছ কেটে ফেলা হয়। আর সেসব গাছ কাটার পর থেকেই ভাঙনের গতি আরো বেড়ে যায়। 

স্থানীয় এলাকাবাসী জলিল সিকদার বলেন, আমরা ছোট সময় দেখছি আমাগো বাপ-দাদারা বেড়িবাঁধের পাশে তাল আর খেজুরের আটি পুতে রাখতেন। সে সময় আমরা এসব বেড়িবাঁধের পাশে শতশত তালগাছ এবং খেজুর গাছ দেখেছি। তখন ভাঙনও এতটা ছিল না।

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, যাতে সকল বেড়িবাঁধের পাশে ভাঙনরোধের জন্য তাল এবং খেজুর প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।

সবুজ বরগুনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী আরিফ খান বলেন, সবুজ বরগুনা অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন বৃক্ষশূন্য এলাকায় বৃক্ষ রোপন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আম্ফানে উপড়ে পড়া পুরান বটবৃক্ষটির পাশে গোলবুনিয়ার নবনির্মিত বেড়িবাঁধে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বটবৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এখানে আরো অনেক বটের চারাসহ তাল ও খেজুর গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে সবুজ বরগুনার। আগ্রহী সকল ব্যক্তিবর্গকে নিজ নিজ উদ্যোগে জেলার সকল বৃক্ষশূন্য স্থানে বৃক্ষরোপানের আহবান জানান সবুজ বরগুনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী আরিফ খান।