https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/m-morshed-216291.jpg

আদালতকে না জানিয়ে বিমান ভাড়া করে দেশ ছাড়লেন মোরশেদ খান

by

আদালতের অনুমতি না নিয়ে জামিনে থাকা সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান দেশ ছেড়েছেন। এভাবে তার বিদেশ যাত্রাকে গর্হিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 

তিনি বলেছেন, এভাবে বিদেশ চলে যাওয়া সন্দেহের উদ্রেক করে। তাছাড়া আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।

পুরো একটি বিমান ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শুক্রবার (২৯ মে) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এম মোরশেদ খান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলা আপিল বিভাগে পেন্ডিং। যে মামলায় তাদের সাজা দিয়েছিল বিশেষ আদালত। হাইকোর্ট এ মামলায় খালাস দিলে দুর্নীতি দমন কমিশন আপিল করে। আপিলে লিভ গ্রাণ্ড হয়। এখন মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।


তিনি বলেন, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলা পেন্ডিং। যে মামলায় হাইকোর্ট তাকে আদেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য। উনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। জামিন নিয়ে আদালতকে অবহিত না করে বিদেশ যাওয়া গর্হিত অপরাধ। নিয়মিত আদালত খুললে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হবে।

মানি লন্ডারিং ছাড়াও গত কিছু দিন আগে দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে মোরশেদ খানের হংকংয়ের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে মোর্শেদ খান হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করেছেন।

খুরশীদ আলম খান বলেন, এ অবস্থায় আদালতের অনুমতি না নিয়ে সস্ত্রীক বিদেশ চলে যাওয়া সন্দেহের উদ্রেক করে। আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।


শুক্রবার একটি বিদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে (ভাড়া করা বিমান) করে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান ত্যাগ করেছেন মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী। ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন কেবল তারা দুই জনই।