দুই নারীসহ নতুন শনাক্ত ৩, এক বাড়ি লকডাউন

শরণখোলায় বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা

by

বাগেরহাটের শরণখোলাতে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। শুক্রবার শনাক্ত হয়েছে দুই নারীসহ আরো তিনজন। এনিয়ে এ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জনে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রোগী অবস্থানকারী উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রতিয়া রাজাপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম খলিফার বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ।

নতুন আক্রান্তরা হলেন, ওই ইউনিয়নের বড় রাজাপুর গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে শাহিনুর বেগম (২৭), ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (১৮) এবং ছেলেবউ মুক্তা বেগম (১৯)। 
শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মো. হানিফ হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, তারা সপরিবারে খুলনার ডুমুরিয়াতে বসবাস করতেন।

পেশায় তারা দর্জি। লকডাউনের কারণে সেখানে দোকান বন্ধ থাকায় তারা মা, ভাই-বোন ভগ্নিপতিসহ ৮ জন গত ২২ মে শরণখোলার গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে উঠলে স্থানীয়দের চাপের মুখে তাদের আত্মীয় নূরুল ইসলাম খলিফার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা।

সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক তাদের ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা পাঠায়। পরীক্ষায় তার ভাই, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে।

শরণখোলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, খুলনার ডুমুরিয়া থেকে তারা পরিবারের ৮ জন রাজাপুরে তাদের আত্মীয় বাড়িতে এসে ওঠে। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেন।

গত মঙ্গলবার (২৬ মে) হাসপাতাল থেকে সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে। পরিবারের অন্যদেরও নতুন করে নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, করোনা পজিটিভ আসার পর বিকেলে ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের ওই বাড়ির একটি কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে শনাক্ত হওয়া চারজনই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সংক্রমিত হয়ে শরণখোলায় এসেছে।