ট্রাম্পের পোস্ট গোপন করে রাখলো টুইটার
by বিদেশ ডেস্কসহিংসতার প্রশংসা করে পোস্ট দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে দাবি করেছে সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মটি। কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় চলমান বিক্ষোভ নিয়ে ওই টুইট করেন ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর পোস্টটি গোপন করে রেখে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তবে তা মুছে ফেলা হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কয়েকদিন আগে টুইটারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের পোস্টকৃত দুটি টুইটে ফ্যাক্ট চেক ট্যাগ লাগিয়ে দেয় টুইটার। এরপরই ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশ সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই আদেশের কারণে কিছু আইনগত সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা তিন রাত ধরে বিক্ষোভের পর ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের হুমকি দেন। বিক্ষোভকারীদের গুণ্ডা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়র জ্যাকব ফ্রে শহরের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘কোনও জটিলতা আমরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারি, যখনই লুটপাট শুরু হবে তখনই গুলিও শুরু হবে।’
বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। তবে ট্রাম্প টুইটে লিখেছেন, ‘এসব গুণ্ডা জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতির প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছে আর আমি তা হতে দিতে পারি না।’
ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এতে জনস্বার্থ নোটিশ যুক্ত করে দেয় টুইটার। কোম্পানিটি বলছে, ‘অন্যদের সহিংস কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হওয়া ঠেকানোর স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
পরে শুক্রবার সকালে অপর এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, চীন এবং কট্টর বামপন্থী ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রণয়ন করা মিথ্যা এবং প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই করছে না টুইটার। তারা রিপাবলিকান, কনজারভেটিভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। ২৩০ ধারা কংগ্রেসের প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। ততক্ষণ পর্যন্ত এটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।