পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বললেন

বাঁধ প্রকল্পের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই

by

বাঁধ প্রকল্পের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেছেন, আমি কয়রা, শ্যামনগর, আশাশুনি ঘুরে দেখেছি যেখানে গাছ ছিল সেখানে ভাঙন হয় নাই, হলেও খুবই কম। যেহেতু বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই পুরো দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করবো আপনারা নদী /খালের পাড়ে গাছ লাগান, ঘর-বাড়ি সংরক্ষিত হবে।

আজ শুক্রবার খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার বটবুনিয়া, কামিনিবাসী, ঝালবুনিয়া, শোলাদানা বাজার, গরইখালী বাজার, কুমখালী, পাটকেলপোতা ও দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগরের ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা স্পিডবোটযোগে পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

খুলনার দাকোপ উপজেলার জন্য ১২০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ দরকার তবে এতে মানুষ বিমুখ হয়ে যায়। কিন্তু একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার জমির বাজারমূল্যের তিনগুণ বেশি দাম দেয়। প্রকল্প পাশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে আমরা দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু করবো।

এ সময় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বাপাউবো) হাবীবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, উপ-সচিব নুর আলম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা) মো. রফিক উল্লাহ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) পলাশ ব্যানার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, চিংড়ির ঘেরের জন্য বাঁধ স্থায়ী হয় না। তাই বাঁধ থেকে কমপক্ষে ১০০ মি. দূরে চিংড়ি ঘের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী 'মানবতার নেত্রী' বলেই জনদুর্ভোগ কমাতে বাঁধ একবার করার পরেও আবার বাঁধ করে দেন।

এর আগে গত ২৮ ও ২৭ মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি উপজেলার এবং খুলনার কয়রা উপজেলার আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

গত ২০ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রায় ১২ কি.মি. বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২২মে উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি।

আম্ফানের আঘাতের পূর্বে উপমন্ত্রী শামীম সাধারণ ছুটির মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।