বিধবা নারীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় হামলা! আহত ৫

by

নরসিংদীর রায়পুরায় বাঘাইকান্দি খেয়াঘাটের এক মাঝির বিরুদ্ধে বিধবা এক নারীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় স্থানীয় পাঁচজনকে মেরে আহত করেন ওই মাঝি ও তার বাড়ির লোকজন। আহতদের মধ্যে সুমন মিয়া (২৭) নামে এক প্রবাসফেরত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আহতরা সবাই শ্রীনগর ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

গত বুধবার উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নরে বাঘাইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ইসমাইল মিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত মো. সবুজ মাঝিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার শাহানা খাতুন তার দুই ছেলে নিয়ে পান্থশালা ফেরিঘাট থেকে সবুজ মাঝির নৌকায় করে মেঘনা পাড়ি দিয়ে বাবার বাড়ি শ্রীনগর যাচ্ছিলেন। নৌকায় একটি ব্যাগ নিয়ে সবুজ মাঝি সঙ্গে ওই নারীর তর্ক বাধে। এরই জের ধরে উপস্থিত অন্য যাত্রীদের সামনেই ওই নারীর গালে থাপ্পর দেয় সবুজ মাঝি। নৌকাটি বাঘাইকান্দি খেয়াঘাটে এসে ভিড়লে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন টাকা দিয়ে নেমে যান শাহানা খাতুন।

নৌকায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জহুর গাজী ও জিয়া নামে এক যুবকে জানান শাহানা। পরে এর প্রতিবাদ করেন জিয়া। এনিয়ে জিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সবুজ মাঝির। এরই জের ধরে সবুজ মাঝির চাচা মুজিবুর রহমান, কামরুলসহ আরো ১০-১২ জন টেঁটা, বল্লম, দা, ছুরি নিয়ে জহুর গাজীর বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত হন পাঁচ জন। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সুমনের বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে সবুজ মাঝির বাড়ির কয়েকটি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালাই বলে জানা গেছে।

শাহানা খাতুন বলেন, নৌকায় ভেতরে সবুজ মাঝি আমার গালে থাপ্পর দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় তার বাড়ির লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য জহুর গাজী বাড়ির লোকজনকে মেরে আহত করেছে।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার দেব বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।