সৈয়দপুরে দাখিল পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

by

নীলফামারীর সৈয়দপুরে আতিকুর রহমান (১৫) নামের এক দাখিল পরীক্ষার্থী গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর তালতলাপাড়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। 

জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলা ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্বাষকান্দর তালতলাপাড়ার কৃষক মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান (১৫)। সে একই এলাকার শ্বাষকান্দর সিনিয়র দাখিল মাদরাসা থেকে এবারে (২০২০ইং সাল) দাখিল পরীক্ষা অংশ নিয়েছে। আর এরই মধ্যে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর এ জন্য তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম তাকে মাঝে মধ্যে শাসনও করত।

গত ২৫ মে সে (আতিকুর) শ্বাষকান্দর তালতলাপাড়া জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে ইমামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এ ঘটনাটি জানতে পেরে আতিকুরের বাবা রফিকুল ইসলাম মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোনটি তাকে ফেরত দিয়ে আসেন। আর এ ঘটনায় বাবা রফিকুল ইসলাম ছেলে আতিকুরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলেন।

এদিকে, ঘটনার দিন গত ২৮ মে দাখিল পরীক্ষার্থী আতিকুর রহমান রাত ৯টায় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ শুক্রবার সকালে দাদী মোছা. শাহনাজ পারভীন নাতি আতিকুরকে ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু সে ঘুম থেকে না উঠলে তিনি নাতি আতিকুরের ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে তাকে ঘরের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় তাঁর চিৎকারের রফিকুল ইসলমসহ বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আতিকুরের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান সৈয়দপুর থানা ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান।