ধুনটে স্পিরিট পানে দুজনের মৃত্যুতে চিকিৎসক গ্রেপ্তার

by

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া (৫৫) নামে হোমিও চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পল্লী চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম উপজেলার ঈশ্বরঘাট গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে এবং ঈশ্বরঘাট শৈলাক হোমিও ফার্সেসির মালিক। এ সময় তার ফার্মেসি থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা ২৮ বোতল বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে হোমিও চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম লাল মিয়াকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া অর্ধশিক্ষিত এক যুবক। তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসা সনদ ছাড়াই শৈলাক হোমিও ফার্সেসি নামে চিকিৎসালয় গড়ে তুলে বেকারত্ব দূর করেন। সেখানে কমপক্ষে ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি হোমিও চিকিৎসার অন্তরালে এলাকার নেশাখোরদের নিকট রেকটিফায়েড স্পিরিট বিক্রি করেন। 

এ অবস্থায় বুধবার ঈশ্বরঘাট গ্রামের চার যুবক আশরাফুল ইসলাম লাল মিয়ার ফার্মেসি থেকে বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট কিনে সেবন করেন। এতে বুধবার রাতে ঈশ্বরঘাট গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে কসাই আল-আমিন (২৮) নিজ বাড়িতে মারা যান। এছাড়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে একই গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে গাড়িচালক আব্দুল আলিম (৩০) মারা যান।

এদিকে বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে একই গ্রামের লালন মিয়া (৩০) ও রেজাউল ইসলামের (২৮) অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তা জানা যায়নি। তবে পুলিশ তাদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছেন।

এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর আলী বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে আশরাফুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্পিরিট পান করে অসুস্থ হয়ে আত্মগোপনে থাকা দুই যুবককে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।