নিজ ঘরে শিরোপা উৎসব করতে দেওয়া হবে না লিভারপুলকে
by খেলা ডেস্কআর দুটি ম্যাচের অপেক্ষা লিভারপুলের। দুটি ম্যাচ জিতলেই ফুরোবে ৩০ বছরের অপেক্ষা।
সেই ১৯৯০ সালে সর্বশেষবার ইংলিশ লিগ শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল মার্সিসাইড ক্লাবটি। এর মধ্যে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ এসেছে, উয়েফা কাপ-এফএ কাপ-লিগ কাপ এমনকি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও জেতা হয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের লিগ শিরোপাটা আর জেতা হয়নি। এবার সেই অপেক্ষা ঘুচানোর নিঃশ্বাস দূরত্বে দাঁড়িয়ে লিভারপুল। কিন্তু এক করোনাভাইরাস এসে লিভারপুলের সব আনন্দ বুঝি কেড়ে নিল!
একে তো মৌসুমে বিরতি ফেলে লিভারপুলের চোখধাঁধানো মৌসুমটাকেই একটু রঙহীন করে দিয়েছে করোনা। গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগ আবার ১৭ জুন ফিরছে বটে, তবে ফিরছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। লিভারপুল তাই শিরোপা জিতলেও সেটির উৎসবে নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে সেটির আনন্দ ভাগাভাগি করা হতো না। কিন্তু এখন যা গুঞ্জন, তাতে সমর্থকদের সঙ্গে তো হচ্ছেই না, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডেও শিরোপা উৎসব করা আর সম্ভবত হচ্ছে না লিভারপুলের।
গত পরশু ক্লাবগুলোর সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৭ জুন লিগ ফিরছে। তাতে প্রায় সবগুলো ম্যাচই দলগুলোর নিজেদের হোম-অ্যাওয়ে সূচি মেনে হলেও পাঁচ থেকে ছয়টি ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। যে ম্যাচগুলো একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে ম্যাচগুলোতে সামাজিক দূরত্বের বিধি না মেনেই দর্শকদের স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় করার সম্ভাবনা সে ম্যাচগুলোই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাতেই কপাল পুড়ছে লিভারপুলের।
তিন দশক পর লিগ শিরোপা আসছে ঘরে, প্রিমিয়ার লিগ যুগে যা প্রথম… লিভারপুলের সমর্থকেরা কি ঘরে থাকবেন? অ্যানফিল্ডে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেই সমর্থকেরা অ্যানফিল্ডের সামনে ভিড় করবেন উৎসবে সামিল হতে, এমনই ভয় যুক্তরাজ্যের পুলিশের। ইংলিশ দৈনিক দ্য টাইমস জানাচ্ছে, এই কারণেই লিভারপুলের বেশ কিছু ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোলডটকম জানাচ্ছে, ম্যানচেস্টার সিটি-লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি-নিউক্যাসল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-শেফিল্ড ইউনাইটেড, নিউক্যাসল-লিভারপুল, এভারটন-লিভারপুল এই পাঁচটি ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ। পাশাপাশি আরেকটি ম্যাচও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নেওয়ার পরামর্শ এসেছে – এমন যেকোনো ম্যাচ যেটিতে লিভারপুলের শিরোপা নিশ্চিত হতে পারে। লিভারপুল প্রথম চেষ্টাতেই শিরোপা নিশ্চিত করতে না পারলে সেটি এক ম্যাচের বেশিও হতে পারে।
লিভারপুল এ সমাধান মেনে নিয়েছে। সাউথ ইয়র্কশায়ার পুলিশের ডেপুটি চিফ কনস্ট্যাবল ও যুক্তরাজ্যে ফুটবল মাঠে পুলিশি নিরাপত্তার প্রধান মার্ক রবার্টস ‘জনস্বাস্থ্য’ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যের কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা মতৈক্যে পৌঁছেছি, যেটা ফুটবলের প্রয়োজনও মেটায়, আর মাঠে যত কম সম্ভব পুলিশ নিয়োগের দিকটিও নিশ্চিত করে।’ তবে তাঁর কথা, কোন কোন ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে, সেটি এখনো ঠিক করা হয়নি।