বগুড়ার ৫ দিনে ভার্চুয়াল আদালত থেকে জামিন পেয়েছে ৭৫৩ জন
by নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়াকোভিড-১৯ ভাইরাসে জনসমাগম এড়াতে আদালতে নিয়মিত মামলা থমকে গেছে। মামলার জট এড়াতে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল আদালত। এ জন্য বগুড়া ভার্চুয়াল আদালতে গত ৫ দিনে ১১৭১ টি মামলার জামিন শুনানী হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫৩ জনের জামিন দিয়েছে জেলা দায়েরা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল আদালতের অধিন জেলার ১২ টি থানার আদায়ত, ও নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বগুড়া কারাগারের জেলার শরিফুল ইসলাম জনিয়েছেন, ৫ দিনে এ পর্যন্ত ৭৫৩ জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।
নারী শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট নরেশ চন্দ্র মুখার্জ্জী জানান, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গত ১২ মে থেকে ভারর্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানী হওযার কথা ছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ভারর্চুয়াল কোর্ট বর্জন করে। এর মধ্যে সরকারি দলের আইনজীবীরাও ছিল।
কোর্ট বর্জনের বিষয়টি স্বীকার করে জেলা দায়রা জন নরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, কিছু আইনজীবী বিষয়টি ভূল বুঝে আদালত বর্জন করেছিল। পরে তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ভারর্চুয়াল কোর্টে জামিন আবেদনের শুনানী হয়।
জেলা দায়েরা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল আদালতের অধিন জেলার ১২ টি থানার আদায়ত ও নারীশিশু ট্রইব্যুনাল আদালতসূত্রে জানা যায়, ১৪, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ মে ভার্চুয়াল আতারতে ১১৭১টি জামিন আবেদন পড়ে। এরমধ্যে ৭৪০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়। জামিন প্রাপ্তরা স্বল্প মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ এরা লঘু অপরাধে জেলাখানায় সাজা খাটছিল। বগুড়া জেলা দায়েরা জজ আদালতে ৪৩১ টি জামিন শুনানী হয়। আদালত ২৩৯ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। চিফ জুডিসিয়াল এর অধিনে ১২ টি থানা আদালতে ৫৪০ টি জামিন আবেদন পড়ে। এর মধ্যে ৪৫০ জনের জামিন মঞ্জুর হয়। নারী ও শিশু ট্রইব্যুনাল আদালতে জামিন শুনানী হয় ১১২ টি। এর মধ্যে ৫১ জনের জামিন হয়।
এদিকে বগুড়া কারাগারে আসামীর ধারণ ক্ষমতা ৭১০ জন। বন্দি আছে প্রায় ২২০০। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় লঘু সাজাপ্রাপ্ত ৯৯ বন্দিকে কারামুক্তি প্রদান করা হয়েছে।
বগুড়া কারাগারের জেলার জানান, এখন বগুড়া কারাগারে বন্দী আছে ১৬০১ জন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ও ভার্চুয়াল আদালতে থেকে জামিন পেয়ে মোট বন্ধী ছাড়া পেয়েছেন ৮৫২ জন। এখন বগুড়া কারাগারে বন্ধী কমে যাওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে কারাগারে।