শিশুর শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশের ঘটনায় মামলা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

by

লক্ষীপুরে দেড় বছরের শিশু হাবিবুর রহমানের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিশু হাবিব সদর উপজেলার চর পার্বতীনগর গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে।

জানা গেছে, নাতি হাবিবের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগে দাদা লাতু মিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে খুকি বেগমকে একমাত্র আসামি করা। রাতেই পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর পার্বতীনগর গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুকি ওই গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী।

আরো জানা গেছে, গত ১১ মে বিকেলে কৌশলে শিশুটিকে ঘরে নিয়ে তিনটি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে অভিযুক্ত খুকি। পরে চিৎকার শুনে মা শামছুননাহার শিশুটিকে খুকির ঘর থেকে উদ্ধার করে। ওইদিনই শিশুর দাদী রহিমা বেগম থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে ২৭ মে রহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

মামলা সূত্র জানায়, চরপার্বতীনগর গ্রামের লাতু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকিদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে ১১ মে বিকেলে খুকি কৌশলে শিশু হাবিবকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে খুকি শিশুটির শরীরে ৩টি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে। চিৎকার শুনে মা ও বোন গিয়ে খুকির ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এদিকে বিষক্রিয়া হয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আইসিওতে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, দিনদিন শিশুটির অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, গ্রেপ্তার নারী থানা হেফাজতে আছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। এছাড়া ইনজেকশনের সিরিঞ্জসহ আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।