করোনায় মোহাম্মদী সেন্টারের প্রশংসনীয় নানা উদ্যোগ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে আমেরিকায় মোহাম্মদী সেন্টারের লাইভ স্ট্রিম তারাবি নামাজ, জুমা ও ঈদুল ফিতরের জামাত এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। করোনার কারণে সব বন্ধ থাকলেও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদী সেন্টার।
কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে পবিত্র কাবা শরিফসহ বিশ্বের প্রায় ছোট-বড় সব মসজিদে নামাজ আদায় করা বন্ধ হওয়ার দুই মাস যেতে না যেতেই আসে রমজান মাস। এই সময় তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। মোহাম্মদী সেন্টার প্রযুক্তির মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে তারাবির নামাজ পড়ানোর ব্যবস্থা করে। একইভাবে জুমার নামাজও পড়ানো হয়। এরপর কোয়ারেন্টিনে আবদ্ধ বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মনে প্রশ্ন ছিল-কীভাবে ঈদের নামাজ ও ঈদ উদ্যাপন হবে। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক লাইভে তারাবি ও জুমার নামাজের মতোই ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়।
নিউইয়র্কের মুসলিম কমিউনিটিকে যথাযথ ধর্মীয় গাইডলাইন প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামি ও সামাজিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী সেন্টারের পরিচালক হিসেবে মাহে রমজান শুরুর আগের ও মাহে শাবানের শেষ জুমা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা পর্যন্ত প্রতিটি জুমা, তারাবি ও ঈদের জামাত মোহাম্মদী সেন্টারের ফেসবুক আইডি (Imam Qazi Qayyoom) থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আদায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন ও হচ্ছেন।
২৪ মে সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত লাইভ স্ট্রিম ঈদের জামাতে নিউইয়র্কের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে পার্শ্ববর্তী অনেক শহর এমনকি কানাডার বিভিন্ন শহর থেকেও মুসল্লিরা অংশ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে মোহাম্মদী সেন্টারের যুগোপযোগী এই পদক্ষেপকে স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের সর্বস্তরের বিচক্ষণ চিন্তাবিদরা স্বাগত জানিয়েছেন।
নামাজ শুরুর আগে ইমাম কাজী কায়্যূম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও নিউইয়র্ক ঈদগাহ এবং মোহাম্মদী সেন্টারের লাইভ স্ট্রিম ঈদ জামাতের জন্য দেওয়া স্থানীয় কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এর কংগ্রেসওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজের ঈদ শুভেচ্ছা বাণী পড়ে শোনান। এ ছাড়া ব্রুকলিন বরো প্রেসিডেন্ট অ্যারিক অ্যাডাম, আন্তধর্মীয় অ্যাকটিভিস্ট দিলিপ চৌহান ও জ্যাকসন হাইটস কমিউনিটি চার্চের পাদরি প্যাস্টর বটো নিজ নিজ ঈদ বাণী দিয়ে নিউইয়র্কের মুসলিম কমিউনিটিকে ধন্য করেন।
আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ফোবানা ও ড্রামা সার্কেল নিউইয়র্ক ঈদগাহ ও মোহাম্মদী সেন্টারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।