বাছুরের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় নিহত এক, আহত ৪
by উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিকুড়িগ্রামের উলিপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৪ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের অর্জুনডারা মুন্সিপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র হামিদুর রহমানের একটি বকনা বাছুর প্রতিবেশী আব্দুল মজিদের পুত্র আইনুল ইসলামের ক্ষেতের ধান খায়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি আপস মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় লোকজন সালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে লোকজন উপস্থিত হলেও বাধ সাধেন আইনুল ও তার পরিবারের লোকজন। স্থানীয়রা আপস মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে চলে যেতে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায় আইনুলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামিদুরের নানা মকিজ উদ্দিনের পুত্র কাচুয়া মাহমুদ (৫৬), কাচুয়া মাহমুদের পুত্র সিদ্দিকুর রহমান (৩৫), সাদেকুল ইসলাম (৩২) ও স্বজন আউয়াল আলীর পুত্র এনামুল হক (৪২) এবং আসকার আলীর পুত্র মন্ডলের (৪৮) ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সিদ্দিকুর রহমান মারা যান। খবর পেয়ে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে হামিদুর রহমানের স্ত্রী কহিনুর বেগম কালের কণ্ঠকে জানান,আমার লাল খয়েরী রংয়ের একটি বকনা বাছুর আইনুলের জমিতে গেলে তারা বাছুরটি ঢিল মেরে আহত করে। এর প্রতিবাদ করলে আইনুলের ভাই আমান উদ্দিন আমাদের লোকজনকে মারপিট করে। বিষয়টি আপস মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় লোকজন সালিস বৈঠকে বসেন। কিন্তু তারা মিটিং না মেনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মামা শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ সরকার বলেন, বাছুর ধান খাওয়া নিয়ে বিবাদের মীমাংসার জন্য সালিস বসে। কিন্তু নিজেদের বাড়িতে শালিস না বসায় আইনুলের পরিবারের লোকজন মিটিং মানতে রাজি না হওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে সিদ্দিকুর রহমান আহত হয়ে মারা যান।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছোট বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।