যানবাহনের জন্য ফেরির অপেক্ষা শিমুলিয়া ঘাটে

by

তিন দিন পর আজ শুক্রবার শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র একদমই ভিন্ন। ঘাটে নেই তোমন কোনো যাত্রীর চাপ নেই। যানবাহনও নেই পারাপারের অপেক্ষায়। ফেরিগুলো রয়েছে যানবাহনের অপেক্ষায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকে যানবাহন না পেয়ে ফেরিজট এড়াতে অনেকটা খালিভাবেই ফেরিগুলো চলে যাচ্ছে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। তবে কাঁঠালবাড়ি থেকে ঢাকামুখী কিছু যানবাহন চলাচল করলেও ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছেনা।

শুক্রবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে আছে যানবাহনের অপেক্ষায়। প্রতিদিনের মত ঘাটে নেই যাত্রীর ঢল। ঢাকা কিংবা দক্ষিনবঙ্গমুখী কোন দিকেই যাত্রীর ঢল নেই। অবস্থা দেখে মন হচ্ছিল স্বাভাবিক দিনের থেকেও যাত্রীর সংখ্যা কম। 

সাধারণত শুক্রবার ছুটির দিনে এ ঘাটে যাত্রীর চাপ একটু বেশী থাকলেও আজ সকাল থেকেই দেখা গেছে বিন্ন চিত্র। পরিবহন স্ট্যান্ডেও দেখা গেছে একই চিত্র। মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো ঢাকামুখী যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু তেমন কোন যাত্রী না থাকায় এসব পরিবহনগুলো বসে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। প্রতিদিন কয়েকগুন বেশী ভাড়া হাকালেও আজ তার ভিন্ন চিত্র ছিল। তাছাড়া বাস, সিবোট ও লঞ্চ চলাচল এখনও শুরু হয়নি। 

সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৩১ মে থেকে এসব যান ও নৌযান চলাচল শুরু হবার কথা রয়েছে।

মাওয়া নৌ পুলিশের আইসি পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানিয়েছেন, আজ ঘাটের চিত্র সম্পূর্ণ আদালা। যানবাহনের অপেক্ষায় ফেরিগুলো পল্টুনে নোঙর করে আছে। প্রতিদিনের মত যাত্রীর চাপ নেই। দক্ষিনবঙ্গমুখী তেমন কোন গাড়ী বা যাত্রীই নেই ঘাটে। তবে ঢাকামুখী কিছু গাড়ী ও যাত্রী থাকলেও তা নজর কাড়ার মত নয়। সরকার যানবাহন ও নৌযান চলাচলের সিন্ধান্ত নেয়ায় সম্ভবত যাত্রীরা ধীরে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে হয় আগামীকাল আবার একটু চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিআইডবিøউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল থেকে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিগুলো যানবাহনের অপেক্ষায় থাকলেও দক্ষিনবঙ্গগামী তেমন কোন যানবাহন না থাকায় ঘাটেই দাড়িয়ে থাকছে ফেরিগুলো। তাই ফেরিজট পরে যাওয়ায় অনেকটা খালিভাবেই কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফিরে যাচ্ছে ফেরিগুলো। সেখানে ঢাকমুখী কিছু যানবাহন রয়েছে। তবে ফেরি সংখ্যা বেশী থাকায় কোন যানবাহনকে ঘাটে লাইনে থাকতে হচ্ছেনা। ঘাটে আসার সাথে সাথেই ফেরিতে উঠছে যানবাহন।