'বার্সেলোনা ছেড়ে রিয়ালে গিয়ে ভালোই করেছি'
by খেলা ডেস্কশতাব্দীর শুরুতেই বার্সেলোনা থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা লুইস ফিগো। হয়েছেন কোটি কোটি বার্সা সমর্থকদের চোখের বালি, একইসঙ্গে মন জিতেছেন বিশ্বজোড়া রিয়াল সমর্থকদের। এত বছর পরেও সে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই ফিগোর
অথচ বার্সেলোনার সমর্থকেরা তাঁকে ভাবতেন ইয়োহান ক্রুইফের যোগ্য উত্তরসূরি। শুধু বার্সেলোনার একজন তারকা খেলোয়াড়ই নয়, নিজেদের কাতালান জাতিসত্ত্বার এক অংশ হিসেবে ফিগোকে মনে করতেন বার্সা সমর্থকেরা। ভাবতেন ক্লাবের প্রধান মুখপাত্র।
কিন্তু বার্সা সমর্থকদের এই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধাবোধ করেননি ফিগো। সুযোগ পাওয়ামাত্রই ক্লাব ছেড়েছেন। শুধু তাই নয়, ক্লাব ছেড়ে যোগ দিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালে। হিসাব করে দেখুন, এখন লিওনেল মেসি যদি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন, তাহলে বার্সা সমর্থকদের কেমন লাগবে? তখন ঠিক তেমনটাই লেগেছিল কাতালানদের। প্রিয় খেলোয়াড় চিরশত্রুদের শিবিরে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রতারকের তকমা দিয়ে গেছেন বছরের পর বছর। ওদিকে ফিগোও বার্সা সমর্থকদের জন্য মনে কোনো জায়গা রাখেননি। এটা তিনিও প্রমাণ করেছেন সময় সময়।
ফক্স স্পোর্টস ব্রাজিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই ফিগো আবার বার্সা সমর্থকদের সেই বেদনা নতুন করে খুঁড়ে বের করলেন যেন। রিয়ালে যোগ দিয়ে যে তিনি উচিৎ কাজটাই করেছিলেন, সে কথাটাই নতুন করে আবারও বলেছেন সাবেক এই পর্তুগিজ তারকা, 'আমি তখন যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম, তাতে আমি অনেক খুশি। সিদ্ধান্ত বদলাবার যদি কোনো সুযোগ থেকে থাকে, আমি তাও রিয়ালে যোগ দেওয়ার ওই সিদ্ধান্ত বদলাব না। বার্সা ছেড়ে দিয়ে ভালোই করেছি।'
একই সাক্ষাৎকারে নিজের সাবেক সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোনালদোর প্রতিও মুগ্ধতা ঝরেছে ফিগোর কণ্ঠ থেকে, 'আমার সৌভাগ্য হয়েছিল রোনালদোর সঙ্গে দুটি ক্লাবে খেলার, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। দুই ক্লাবেই ও আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমার সতীর্থদের মধ্যে ওর খেলা দেখেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি। চোটে না থাকা অবস্থায় ও আসাধারণ কিছু কাজ করতে পারত। ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়ার জন্য ওকে খুব বেশি কষ্ট করতে হত না। আর এ কারণেই ও অসাধারণ একজন খেলোয়াড় ছিল।'
পাঁচ বছর করে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদে খেলে গেছেন ফিগো। পরে চার বছর খেলেছেন ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে। পর্তুগালের হয়ে ১২৭ ম্যাচে ৩২ গোল করা এই তারকা অবসর নিয়েছেন ২০০৯ সালে।