
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এক বছরের বেতন-ভাতা দিলেন হুইপ আবু সাঈদ
by প্রতিনিধি, আক্কেলপুর, জয়পুরহাটঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জয়পুরহাটের দুটি উপজেলার মানুষের সহায়তায় নিজের এক বছরের বেতন-ভাতা তুলে দিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ, জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই- ক্ষেতলাল) আসনের সাংসদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। ইতিমধ্যে হুইপ এক বছরের বেতন–ভাতার ১৫ লাখ ৬০ টাকার মধ্যে ১৪ লাখ টাকা হস্তান্তর করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায় অন্তত ২৫ টি গ্রাম তছনছ হয়ে যায়। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়। বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি-ক্ষতি হয়। এর আগে রোববার রাতেও বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঈদের পর হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ ঢাকা থেকে এসে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শনে করেন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জানান, তিনি এক বছরে ১৫ লাখ ৬০ টাকা বেতন–ভাতা পান। পুরো টাকা দুটি উপজেলার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে দুটি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউএনওর কাছে বেতনভাতার ১৪ লাখ টাকা হস্তান্তর করেছেন। আগামী রোববার আরও ১ লাখ ৬০ টাকা হস্তান্তর করবেন।
কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান বলেন, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তাঁর বেতন ভাতার চার লাখ টাকা দিয়েছেন। ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মণ্ডল বলেন, হুইপ মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি মঙ্গলবার চার লাখ ও গতকাল ছয় লাখ টাকা দিয়েছেন।
জয়পুরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, মঙ্গলবার রাতে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল ও পাঁচবিবি উপজেলায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা কালাই ও ক্ষেতলাল। চারটি উপজেলার তিন হাজার ৩৩টি বাড়ি-ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও ৮৫৬টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পাঁচ হাজার ২৫০ টি গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে ও গাছ উপড়ে গেছে। দুই হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেতলালে একই পরিবারের তিনজন ও কালাইয়ে একজন মারা গেছেন।