রংপুরে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

by

সরকারি নির্দেশনা মেনে রংপুর জেলায় প্রায় ছয় হাজার মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেও ঈদের পর পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে আড্ডায় মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। ঈদে রংপুর নগরে দোকানপাট খোলা থাকলেও ৮০ শতাংশ মানুষই নতুন কাপড় ক্রয় করেননি। এদের কেউ সামর্থ্য না থাকার কারণে আবার কেউ করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাজারেই যাননি। ফলে ব্যবসায়ীদের এবারে ঈদ বাজার ভাল যায়নি।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের সিদ্ধান্তে দোকানপাট খুললেও ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। প্রতিবছর ঈদের আগের দিন ১০ কোটি টাকার ওপর কাপড় বিক্রি হলেও এবার অর্ধেকেরও কম বিক্রি হয়েছে বলে জানান মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন। 

এদিকে ঈদের পরদিন থেকে দোকানপাট খোলা থাকায় নগরীর হোটেল রেস্তোরাগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে নগরীর অর্জন মোড়, মেডিক্যাল মোড়, পার্কের মোড় ও সাতমাথায়। অনুমোদনহীন বাস, মাইক্রো ও প্রাইভেট কার ভাড়া করে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে। অনেকে আবার ট্রাকে করেও যাচ্ছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত খাদেমুল ইসলাম জানান, শনিবারের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে চাকরি চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই দুই হাজার টাকার চুক্তিতে একটি বাসে করে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার মত অনেকেই ট্রাকসহ বিভিন্ন বাহনে ঢাকা যাচ্ছেন।   

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাটই খোলা। বিশেষ করে হোটেল রেস্তোরাগুলো লোকজনের আড্ডা ছিল চোখে পড়ার মত। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে লোকজনের সমাগম ছিল আগের মতই। অনেকে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ না করলেও মহল্লার আড্ডায় ছিল তাদের সরব উপস্থিতি। করোনাকে উপেক্ষা করে এই সমাগম রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। 

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ফখরুল আলম বেঞ্জু জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে রংপুরে অল্প দিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনসহ সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।