১০ টাকা কেজিতেও আম বিক্রি হয়নি সাতক্ষীরায়
by মমতাজ আহমেদ বাপীঘূর্ণিঝড় আম্পানে সাতক্ষীরার আম বাগান মালিকরা অনেকটাই সর্বশান্ত। গাছের নব্বই ভাগ আমই পরিপক্ক হওয়ার মুখে ঝড়ে পড়েছে। যে আম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়ার কথা তা ১০ টাকা কেজিতেও বেচতে পারেননি বাগান মালিকরা।
এই ক্ষতি পুষিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। অবশ্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে ৬৫ কোটি টাকার ক্ষতির উল্লেখ করে প্রণোদনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে আম বাগান মালিকদের।
চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় আম বাগানের গাছগুলো পরিচর্যা করছিলেন ১৩ হাজার ৯৯ জন শ্রমিক। এছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে আরও কয়েক হাজার বাড়িতে হাজার হাজার গাছে আম ছিল। প্রশাসনের নির্দেশ মতো ৩১ মে থেকে আম বাজারজাত করার কথা থাকলেও লোকসানের মুখে বাগান মালিকরা।
তাদের দাবি, আম সংগ্রহের আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে আমগাছগুলা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এতে ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালী আমের অধিকাংশ ঝরে পড়েছে। এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন বাগান মালিকরা।
বড় বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী বলেন, যেহেতু ৯০ ভাগ আম পড়ে গিয়েছে, যে ক্ষতি হয়েছে আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না।
অবশ্য, ক্ষতিগ্রস্ত আম বাগান মালিকদের প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে। সে মোতাবেক তাদের প্রণোদনা দেয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এবার চার হাজার হেক্টর জমিতে ৫ হাজারের বেশি আম বাগানে ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।