https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/budget-216169.jpg

বাজেটে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানোর পরামর্শ

by

দেশের বাজেটের সিংহভাগ অর্থই ব্যয় হয় বেতন, ভাতা, পেনশন, সুদসহ বিভিন্ন অনুন্নয়ন খাতে। চলমান করোনা সংকটে ঘোষিত বাজেটে সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ, আপ্যায়ন, দাপ্তরিক সভার সম্মানী, কিংবা স্থায়ী সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে অর্থের অপচয় রোধে গুরুত্ব দেয়া হবে। বাড়তি বরাদ্দ থাকবে স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থানে।

চলতি বছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের ৫৯.৫ শতাংশ ব্যয় ধরা হয় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ভাতা, ভর্তুকি, ঋণের সুদ, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনে। অর্থাৎ বাজেটের আকার যত বড় দেখা গেছে তার মাত্র ৪০.৫ শতাংশ বা ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা গেছে সরাসরি জনগণের উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেবায়। যার মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা, জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উল্লেখযোগ্য।

করোনা মহামারিতে প্রতিকূল পরিস্থিতির বাস্তবতায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে আসছে অর্থবছরের বাজেট। তাই অর্থনীতিবিদরা গতাণুগতিক বাজেটের ধারণা থেকে বেরিয়ে অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও জরুরি প্রয়োজনীয় খাতকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।


অর্থনীতিবিদ ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি ও কর্মসংস্থান এই চার বিষয়ে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০২০-২১ অর্থবছরের মোট উন্নয়ন ব্যয় অনুমোদিত হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। বিভিন্ন সূত্রমতে, এবার মূল বাজেট হতে পারে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো অর্থাৎ অনুন্নয়ন ব্যয় প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সরকার করোনা মহামারিকে আমলে নিয়েই বাজেট প্রণয়ন করবে বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম।

ড. শামসুল আলম বলেন, বাজেটের মূল বিষয় হল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুনর্জীবিত করা। কুটির, কৃষি, মধ্যমও ছোট সব শিল্প হাত যেন চালু হয়।


অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ পণ্যের বেচাকেনা কমে যাওয়ার পাশাপাশি করোনার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত আমদানি রপ্তানী বাণিজ্যেও চরম মন্দা থাকবে, যা সামগ্রিকভাবে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পুঞ্জীভূত মুনাফা এখন কাজে লাগানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।