https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/libya-bd-final-216161.jpg

দোষ আফ্রিকানদের, অথচ পাচারকারীরা মারল ২৬ বাংলাদেশিকে

by

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ অন্তত ৩০ অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে পাচারকারী চক্র। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আরও অন্তত ১১ বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অভিবাসীদের হাতে এক মানবপাচারকারী খুন হওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদায় অভিবাসীদের ওপর হামলা চালায় মানবপাচারকারী একটি চক্র। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হতাহত হয়।


এক বিবৃতিতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ১৫ দিন আগে বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলি নেয়া হচ্ছিল ৩৮ জন বাংলাদেশিকে। পথে মিজদাহ শহরে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে জিম্মি করে মানবপাচারকারী চক্র। জিম্মি অবস্থায় তাদেরকে অত্যাচার, নির্যাতন করার এক পর্যায়ে অভিবাসীদের হাতে এক পাচারকারী মারা যায়। এরই জেরে অভিবাসীদের দিকে বৃহস্পতিবার এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই অনেকে মারা যান। আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে ত্রিপলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রবাসীদের নেতা ওমর ফারুক বলেন, সেখানে কিছু আফ্রিকান নাগরিক ছিল যারা পাচারকারীদের হাতে আটক হয়েছে, তারা পাচারকারী একজনকে মেরে ফেললে লিবিয়ানের পরিবারিক সদস্যরা এসে গুলি ছুড়লে ২৬ বাংলাদেশি মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, দূতাবাস থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ঘটনাটা যা শুনেছেন সত্য এবং আমরা আরো বিষয় জানার চেষ্টা করতেছি। ২৬ জন মারা গেছেন, ১১ জন আহত। ১ জন সুস্থ আছেন। ৩৮ জন যেটা আমরা শুনেছি।

অভিবাসীদের ইউরোপে প্রবেশে দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়াকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানবপাচারকারীরা। বিশেষ করে বেশ কয়েকবছর ধরে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে মানবপাচার হয়ে আসছে।