https://www.somoynews.tv/img/upload/medium/koira-embank-216167.jpg

স্বেচ্ছাশ্রমে নেমেও বাঁধ ধরে রাখতে পারছেন না কয়রাবাসী

by

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারে কয়রার সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে নেমে পড়েছেন কাজে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সহায়তা না পাওয়ায় উদ্যোগটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনার কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়ন মহারাজপুর উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাঁধের ২১টি স্থানে বড় ধরণের ভাঙন সৃষ্টি হয়।

এরপর থেকে প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়া মানুষগুলো মাথা গোঁজার জায়গাটুকু রক্ষা করতে নিজেদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু করেন। ২/১টি স্থানে এলাকার মানুষের এই উদ্যোগ সফল হলেও গত কয়েকদিন বাঁধ বাঁধার জন্য বস্তা বালি ও অন্যান্য সরঞ্জাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ না করায় কাজ না করে ফিরে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।


বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জোয়ারের সময় নতুন করে অনেক জায়গা প্লাবিত হচ্ছে। পানির চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ঘর ছেড়ে মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

বাঁধ সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার বলার পরও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান-মেম্বার নিয়ে আমরা মিটিং করেছি। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার বলার পরও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।


খুলনার কয়রা উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি।