
করোনা কিপটে বানাচ্ছে ধনীদের
by অনলাইন ডেস্কখরচের লাগাম টেনে ধরেছেন ধনীরা।করোনা মহামারির কারণে বড় খরচে এখন আর যাচ্ছেন না তাঁরা।এমনকি এক বছরের মধ্যে বড় ধরনের খরচ করার কোনো ইচ্ছেও তাঁদের নেই।সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসিএর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিএনবিসি মিলয়নিয়য়ার জরিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মার্কিন ধনাঢ্য ব্যক্তি বলেছেন, তাঁরা গত বছরের তুলনায় এই গ্রীষ্মে কম ব্যয় করার পরিকল্পনা করছেন। ১০ লাখ ডলারের বেশি অর্থের মালিক এমন ৭৫০ জন ধনীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। আবাসন, নতুন দামি গাড়ি অথবা ছুটি কাটাতে প্রতি বছর বড় অর্থ ব্যয় করেন মার্কিন ধনীরা।তবে এবার এই ব্যয়গুলো না করার পরিকল্পনায় করেছেন তারা। এমনকি আগামী এক বছর এই সব কাজে বড় অর্থ ব্যয় করবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জরিপে দেখা গেছে, প্রতি চার জনে একজন মিলয়নিয়ার এ বছর আবাসন খাতে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন। কারণটা করোনার দুঃসময়।১৫ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাঁরা গাড়ি কিনছেন না। ১০ শতাংশ জানিয়েছেন, সব ছুটি বাতিল এবার। কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৭ শতাংশই বেশ পরিষ্কারভাবে জানান, এ বছর তো নয়,। ২০২১ অথবা তারও পরে।
সিএনবিসির সঙ্গে এই সমীক্ষা চালিয়েছে স্পেকট্রাম গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ ওয়ালপার বলেন, 'ধনীরা এখনো খুব সতর্ক। এই সংকট থেকে তাঁরা শিক্ষা নিয়েছেন যে আরও বেশি সতর্ক থাকা এখন প্রয়োজন। তাঁরা এখন বড় ধরনের কোনো কেনাকাটায় যেতে চাইছেন না।'
তবে করোনাভাইরাসের আর্থিক ক্ষতির মুখে খুব বেশি পড়তে হয়নি ধনীদের।বেশির ভাগই বলেছেন যে, তাঁদের সম্পদের পরিমাণ চলতি বছরের শেষের দিকে এক বা বেশি হবে। প্রায় তিন–চতুর্থাংশ বলছেন, তাঁদের আয় একই বা বেশি হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছেন তাঁরা। কারণ ধনীদের অর্ধেকই বিশ্বাস করেন, করোনা মহামারির কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হয়েছে, তা ২০০৮–০৯ সালের মন্দার চেয়ে বেশি দিন স্থায়ী হবে। তবে কেনাকাটায় কিপটেমি কেবল অর্থনৈতিক মন্দার কথা ভেবে নয়, দাম কমতে পারে—এমন আশা থেকেও এখন কেনাকাটা বন্ধ রাখছেন তাঁরা।