https://www.dhakatimes24.com/assets/news_photos/2020/05/29/image-168109.jpg

স্বস্তির নিঃশ্বাসের খোঁজে তুরাগ তীরে নগরবাসী

by

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার কারণে বাইরে বের হওয়া দায়। আর কোনো কাজে বাইরে আসতে হলেও মুখের উপর মাস্ক পড়াটা বাধ্যতামূলক। ফলে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়াটা যেন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকতে থাকতে হাপসে উঠেছেন অনেক নগরবাসী। তাই একটু মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে অনেকেই ছুটে আসছেন ঢাকার কোল ঘেঁষে বয়ে চলা তুরাগ নদের তীরে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, গাবতলীর দ্বীপনগর, সাভারের ভাকুর্তা থানা এলাকার সিলিকন সিটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় নদী তীরে মানুষের জমায়েত।

https://www.dhakatimes24.com/templates/web-v1/images/eValy-4-4-2020.png

পরিবেশ বিবেচনায় করোনাভাইরাসের ভয়টাই ভুলে গেছেন এখানে আসা অনেকে। কেউ নদের আলতো ঢেউ দেখছেন। কেউবা তীরের সবুজ বনানী। কারো কারো চোখ নদীতে ভেসে বেড়ানো কচুরিপানার দিকে। কেউবা তীরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী জাহাজে উঠে নদী ভ্রমণে স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ সময়গুলো ধরে রাখতে ছবি তুলতে ভুলছেন না বেশিরভাগ দর্শনার্থী।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের আনাগোনা বাড়ে তুরাগ তীরে। শহুরে কোলাহল ভুলে কিছুক্ষণ নদীর পাশে বসে নস্টালজিয়া হয়ে যান অনেকেই। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে নদীর তীরে মানুষের আনাগোনা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে যাদের পক্ষে আসা সম্ভব হচ্ছে, তারা নদীর পাড়ে আসতে ভুলছেন না।

নদের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে খেয়া পারাপারের ব্যবস্থা। জনপ্রতি ১০ টাকা করে দিয়ে নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চরগুলোতে ঘুরে আসছেন অনেকে, যা নগরবাসীর বিনোদনের ক্ষুধাটাকে যেমন পূরণ করেছে, একইসঙ্গে করোনার ভয়ে মূর্ছে যাওয়া মানুষগুলো প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগে পাচ্ছেন।

তুরাগ তীরে ঘুরতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, নদীর তীরে মানুষের আনাগোনা কম। তাই করোনার ভয়টাও কম। ফলে মুক্ত বাতাসে মন খুলে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চাননা তিনি।

আনোয়ার বলেন, ‘এখন যে অবস্থা, মাস্ক পড়ে চলা ছাড়া উপায় নেই। আর মাস্ক পড়ে নিঃশ্বাস নেয়াটা কতটা কষ্ট, সেটা এখন সবাই জানে। অন্তত এই জায়গাটাতে আসলে মাস্ক পড়তে হয় না। মানুষজন কম। সংক্রমণের ভয়টাও কম। নিঃসন্দেহে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য এখানে আসি।’

একই কথা জানালেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রিয়া মণ্ডল। বলেন, ‘দুই মাসের বেশি আমরা বন্দি। কাজ ছাড়া সাধারণ সময়েও বাসা থেকে বের হওয়া হতো না। শুধু ছুটির দিনগুলোতে বাইরে ঘুরতে যেতাম। এখন তো সে সুযোগটাও নেই। যেখানে যাব, সেখানেই ভাইরাসের ভয়। সেদিক থেকে এ জায়গা নিরাপদ মনে হয়। তাই এখানে আসি। নদীর পাড়, ভালই লাগে।’

রিয়া, আনোয়ারদের মতো তরুণদের পাশাপাশি তুরাগ পাড়ে দেয়া মিলেছে মধ্য বয়সী নারী-পুরুষদের। কেউ কেউ নদের সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন শিশুদের সঙ্গে নিয়েও।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/কারই/এমআর)