জুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকায় ব্যবসায়ীর লোভ, গুনলেন জরিমানা

by

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে সারা দেশে ৫০ লাখ কর্মহীন দরিদ্র মানুষকে মোবাইলের মাধ্যমে ২৫০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোবাইল ব্যাংকিং, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সেই টাকা পাঠানো হচ্ছে সকল উপকারভোগীদের কাছে। উক্ত টাকার সাথে খরচ বাবদ ৩৬.২৬টাকাও দেওয়া হচ্ছে। সেই টাকা ক্যাশ আউট করতে গিয়ে অনেক উপকারভোগী বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। ৩৬ টাকা ছাড়াও খরচ, ট্যাক্স ইত্যাদি অজুহাতে সহজ সরল অসহায় মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের প্রাপ্ত আড়াই হাজার টাকা থেকে ৫০-১০০ টাকা কেটে রাখার অভিযোগ রয়েছে দোকানীদের বিরুদ্ধে। 

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এমনই একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বনিক উপজেলা শহরের একটি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দোকান ব্যবসায়ী উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের আলফাজ মিয়ার পুত্র আবুল বাশারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অভিযোগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

গতকাল সকালে জুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রদত্ত লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের বাসিন্দা রাজন মিয়ার মোবাইলে (০১৭১৫-২৭৩৪৯৯) ও জলিকা বেগমের মোবাইলে (০১৭৭২-৪২৫৩৩৯) নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২ হাজার ৫৩৬টাকা আসে। গত ২৬ মে উক্ত টাকা ক্যাশ আউট করার জন্য তারা জুড়ী বিজিবি ক্যাম্প চত্বরস্থ ফজলুর রহমান শপিং সেন্টারে আবুল বাশারের দোকানে যান। ওই দোকানী ৩৬ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন অজুহাতে রাজন মিয়ার নিকট থেকে ৫০ টাকা কেটে ২৪৫০ টাকা ও জলিকা বেগমের নিকট থেকে ১০০ টাকা কেটে ২ হাজার ৪০০টাকা প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক জানান, করোনা ভাইরাস মহামারিতে দেশের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সরকার এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কর্মহীন দরিদ্রদের মোবাইলে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করছেন। সাথে খরচও দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহক পুরো ২ হাজার ৫০০ টাকা পাবে, এখান থেকে কোন টাকা কেটে রাখার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, জুড়ীতে অভিযোগকারী দুজনের কেটে রাখা টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং দোকানীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।