https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/05/29/18c68495faa89027984a2b5714be2853-5ed099123b1b9.jpg
বিভিন্ন রাজ্য থেকে মৌসুমি শ্রমিকেরা ফিরছেন পশ্চিমবঙ্গে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে ফেরা মৌসুমি শ্রমিক নিয়ে করোনা আতঙ্ক

by

ভারতে করোনা–সংক্রমিত এলাকা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক থেকে মৌসুমি শ্রমিকেরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন। তাঁদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও সাধারণ মানুষ। এসব শ্রমিক থেকে করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বিশেষ ট্রেনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকা মৌসুমি শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয় । পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুরোধ জানায় ১০৫টি বিশেষ ট্রেনের। সেই অনুরোধ রক্ষা করে ভারতীয় রেল বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে।

বিভিন্ন, বাস, লরি ও ট্যাক্সিতে করে শ্রমিকেরা গাঁটের পয়সা খরচ করে ফিরে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ৪২টি ট্রেন এসেছে। আরও আসছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা এখন পর্যন্ত ফিরে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই করোনায় সংক্রমিত। পরীক্ষায়ও পাওয়া যাচ্ছে করোনা পজিটিভ।

https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/1600x0x0/uploads/media/2020/05/29/d548033e0a232a11ece95817b7598f35-5ed099156f0b2.jpg
মৌসুমি শ্রমিকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৩৪৪ জন। মৃত্যু ৬ জনের। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২৩ জন। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৭২ জন। যাঁরা অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে করোনার উপসর্গে মারা গেছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখন পর্যন্ত আড়াই থেকে ৩ লাখ মানুষ অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছে। আরও বহু মানুষ ফিরে আসার অপেক্ষায়। এভাবে যদি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লিসহ সর্বাধিক আক্রান্ত রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা আসে, তাহলে এই রাজ্যের পরিস্থিতি মারাত্মক হবে। বেড়ে যাবে সংক্রমণ।

মমতা আরও বলেছেন, মৌসুমি শ্রমিক ফিরে আসার পর পশ্চিমবঙ্গে করোনা–সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। ১৪টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল কনটেনমেন্ট জোন। এখন ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ১৫ মে যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ৫৫৭টি কনটেনমেন্ট জোন ছিল, সেখানে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬টি।