মহাকাশযাত্রার নতুন যুগের শুরু
by অনলাইন ডেস্কমার্কিন মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের তৈরি রকেট যদি আকাশে উড়তে সক্ষম হয়, তবে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে। প্রথমবারের মতো একটি বেসরকারি সংস্থা কক্ষপথে মানুষ পাঠানোর মাধ্যমে মহাকাশযাত্রার নতুন যুগের শুরু করবে।
মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নেচার’ জানিয়েছে, স্পেসএক্সের মহাকাশযান পাঠানোর মধ্য দিয়ে প্রায় এক দশক পর প্রথম মার্কিন নভোচারীদের পাঠানোর ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে। ২০১১ সালে স্পেস শাটল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠাতে অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) রাশিয়ান সয়ুজ যানের ওপর নির্ভর করে আসছে, যা ষাটের দশকে নকশা করা হয়েছিল।
গত বছর থেকেই স্পেস এক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কার্গো আনা–নেওয়ার কাজ করছে। তবে এবারের যাত্রাপথে এতে দুজন নভোচারী যুক্ত হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ডগ হার্লে ও বব বেনকেন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাসা ও স্পেসএক্স খারাপ আবহাওয়ার কারণে বুধবার ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দুই নভোচারীর মহাকাশ যাত্রা স্থগিত করেছে।
নাসার টুইট উল্লেখ করে সিনহুয়া জানিয়েছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতির কারণে যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ফ্লাইটের পথে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যাত্রা বিলম্বিত করা হয়েছে। আগামী শনিবার পরবর্তী যাত্রার দিন ধার্য করা আছে। যাত্রা শুরুর ১৯ মিনিট আগে তা আবহাওয়ার কারণে স্পেস এক্স ফ্যালকন রকেট বাতিল করা হয়েছে।
সাফল্যের সঙ্গে ডকিংয়ের পর নভোচারীদের স্টেশনে স্বাগত জানানো হবে এবং তাঁরা এক্সপেডিশন ৬৩ ক্রুর সদস্য হবেন। তাঁরা স্পেস স্টেশন ক্রুদের সঙ্গে গবেষণা এবং অন্যান্য কাজ পরিচালনা করার পাশাপাশি ক্রু ড্রাগনের ওপর পরীক্ষা করবেন।
এটি নাসার বাণিজ্যিক ক্রু প্রোগ্রামের জন্য স্পেসএক্সের চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন এবং ফ্যালকন ৯ রকেট, ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান এবং গ্রাউন্ড সিস্টেমের পাশাপাশি কক্ষপথ, ডকিং ও ল্যান্ডিং অপারেশন–সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে।