সহকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নামাজ পড়েন ঘাতক জনি

by

ঘুমের মধ্যে সহকর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ পিঠে তুলে নিয়ে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন ঘাতক। মেসে ফিরে এসে গোসল করে নামাজও পড়েন। হত্যার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঘাতক জনি।

আজ বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা এলাকার একটি মেস বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জনি (২০) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুরা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় এক ডায়িং কারখানার শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দাঁত ভাঙ্গা এবং গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। উদ্ধারের পর জানা যায়, লাশটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার রাজর আলীর ছেলে জাহিদ হোসেনের (১৯)।

একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে ঘাতক জনি ও নিহত জাহিদ গাজীপুরা এলাকার আবুল হোসেনের মেসে ভাড়া থেকে একটি ডায়িং কারখানায় কাজ করতেন। তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে জনিকে আটক করে বুধবার বিকেলে থানায় আনা হলে সে জাহিদকে হত্যার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত জানায়।

জনির ভাষ্য মতে, জাহিদ নেশা করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘরে নেশা করে ঘুমিয়ে পড়লে জনি গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে সহকর্মী জাহিদকে হত্যা করে। কেউ যাতে হত্যার ঘটনা টের না পায় সেজন্য জাহিদের লাশ পিঠে তুলে বাড়ির পেছনের জঙ্গলে নিয়ে ফেলে দেয় জনি। ঘরে ফিরে গোসল করে নামাজ পড়ে বিছানায় শুয়ে থাকে। জাহিদ প্রায়ই জনিকে বকা-ঝকা ও চড়-থাপ্পড় মারতেন। প্রতিশোধ নিতেই সে সহকর্মীকে হত্যা করে।