লকডাউন শিথিল মানে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করা নয়: তথ্যমন্ত্রী
by মহানগর সময় ডেস্ককরোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেউ নিজে না চাইলে তাকে আরেকজন ‘জোর করে’ সুরক্ষা দিতে পারবে না।
লকডাউন শিথিল করা মানে অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করা নয় বলেও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে জীবন জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনো ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আমার সুরক্ষা যদি আমি না নিই তাহলে কাউকে তো জোর করে নেওয়ানো সম্ভব নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, যে কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক দেশের মত ভেঙ্গে পড়েনি। পাকিস্তানেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়েছিল। সেখানে ডাক্তারদের এরেস্ট করতে হয়েছে হাসপাতাল চালু রাখার জন্য। বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি হয়নি।'
দেশের যেসকল ডাক্তার সাহসিকতার সাথে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'অনেকে অহেতুক সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ভাল না হতো, তাহলে শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও বেশি হতো।'
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় অনেকে ধন্যবাদ না দিলেও বিশ্ব সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন, তার ফলেই ১৭ কোটি মানুষের এই উন্নয়নশীল দেশে দু’মাসের বেশি সময় প্রায় সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হলেও সরকারের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তায় এখনো একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি। প্রায় সাত কোটি মানুষ নানাভাবে সরকারের সহায়তার আওতায় এসেছে।'
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যে দেড় শতাধিক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তিনজনের বেশি সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।