মশার উৎপাত, বেনাপোলে ডেঙ্গু আতঙ্ক
by বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিদেশের সীমান্তবর্তী বেনাপোল পৌর ও ইউনিয়নে শুরু হয়েছে মশার উৎপাত। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ বেনাপোলবাসী। আর গত ৫-৭ দিনের থেমে থেমে সামান্য বৃষ্টিতে এর মাত্রা আরও ছাড়িয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়নবাসীর মনে ছড়িয়েছে পুরোনো ডেঙ্গু আতঙ্কও। তবে বেনাপোল পৌরসভা থেকে বলা হয়েছে, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসসহ মশন নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পরপরই মশার উৎপাত বাড়ে। কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করলেও মশা যাচ্ছে না। গ্রামের লোক মশা থেকে বাঁচতে মশারি টাঙালেও শহরের অনেকে মশারি টাঙান না। মশার অত্যাচারে বাধ্য হয়ে অনেকে মশারি টাঙাতে দেখা যাচ্ছে। তবে তাদের ছোট বাসায় চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল পৌরসভার ভবারবেড় এলাকার আল আমিন বলেন, সন্ধ্যার পরপরই বাসায় মশার উৎপাত বাড়ে। রাতভর মশা আর ডেঙ্গু আতঙ্কে কাটাতে হয়। মশার স্প্রে ও কয়েল কোনো কাজে আসে না। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান কাগজপুকুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, ছোট আচঁড়ার ইশরাত সুলতানা, নামাজ গ্রামের জাকির হোসেন, বেনাপোলের আসাদুজ্জামান রিপন, আবুল কালাম, ইদ্রিস আলম, বড়আঁচড়ার সাগর হোসেন, সাদিপুর গ্রামের জমির হোসেন। এজন্য তারা মশক নিধনে বেনাপোল পৌরসভা ও বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।
এদিকে শার্শা উপজেলা কীটতত্ত্ববীদরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু নির্মূলে শুধু একটি মৌসুম নয়, সারা বছর কাজ করতে হবে। তা না হলে এডিসসহ অন্যান্য মশা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে না। এডিস মশা প্রতিকূল পরিবেশেও ডিম ছাড়তে পারে। ডিমগুলো অনেক দিন টিকে থাকতে পারে। পানির স্পর্শ পেলেই এগুলো থেকে লার্ভা হয়। ওইসব মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারসহ এসকল এলাকায় কাজ করতে হবে।
বেনাপোল পৌরসভার সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে সব ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, এজন্য এখন মশক নিধনের ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে ওষুধ ছিটালে ওষুধের কার্যকারিতা থাকেনা। বৃষ্টি কমে গেলে ওষুধ ছিটানোর কাজ অব্যাহত থাকবে। এগুলো মনিটরিং করার জন্যও টিম করে দেওয়া হয়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রম চালানো হবে বলেও তিনি জানান।
বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে মশক নিধনের ওষুধ স্প্রে করা হবে। বেনাপোল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।