নারায়ণগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্কুলছাত্র নিহত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের মেঘনা নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে উভয়পক্ষের ১০জন। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি এলাকায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, নিহত আইয়ুব নবী (১৬) ইজারকান্দি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সাথে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল হক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।এদিকে বুধবার( ২৭ মে) বিকেলে ইজারকান্দি এলাকায় জুয়ার আসর বসায় রাসেল ও তার সহযোগীরা। এলাকায় জুয়া খেলতে বাধা দেয় ইজারকান্দি কবরস্থান পাঠাগারের চাকুরীজীবী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আইয়ুব নবী। এ নিয়ে প্রথমে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আইয়ুব নবীর পক্ষ নেয় সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুল হকের এবং  রাসেলের পক্ষ নেয় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন। এ নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপ আরে গ্রুপের উপর হামলা করে। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়। উভয়পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির এক পর্যায়ে আইয়ুব নবীর মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশসহ আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, নিহত আইয়ুব নবীর মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফের সংঘর্ষ যাতে না হয় সেজন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।