‘স্যানিটাইজারের কারণে বাড়ে আগুনের তীব্রতা’
by বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত তাঁবুতে দাহ্য পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকায় আগুন বড় আকার ধারণ করে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়।
সুদীপ কুমার বলেন, মৃতদের মধ্যে ৩ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন এবং ২ জন করোনা নেগেটিভ ছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং একজন নারী। ৩ জনের বয়স ৭০ বছরের বেশি, নারীর বয়স ৪৫ এবং একজনের বয়স ৫০ বছর।
তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থাপিত তাঁবুর ভেতরে যেসব সামগ্রী ছিল এগুলো বেশি দাহ্য, যার কারণে খুব দ্রুত আগুন লেগে যায়। এখানে যারা প্রত্যক্ষদর্শী এবং রোগীর আত্মীয় ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, এখানে যে এসি ছিল সেখানে স্পার্কিং হয়। সেটা থেকেই এখানে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে থাকা উপাদান সবই দাহ্য পদার্থ ছিল। এখানে অনেক স্যানিটাইজার ছিল যা অনেক বেশি দাহ্য, এর প্রেক্ষিতে আগুন বড় রূপ নেয়। দাহ্য পদার্থের কারণে ফায়ার সার্ভিস আসার আগ পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, মৃতদের মধ্যে যাদের করোনা নেগেটিভ তাদের লাশ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মৃত করোনা রোগীদের আইইডিসিআর স্বীকৃত যে প্রটোকল সেই অনুযায়ী ধর্মীয় রীতি মেনে দাফন করা হবে।
আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা অন্যকোনও উৎস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের এক্সটেনশন সেটে (যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছিল) অনেক বৈদ্যুতিক তার ছিল। যেগুলো থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজন মারা গেছেন। এর বাইরে হতাহতের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।