ইউনাইটেড হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় মিলেছে

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/146411855ee644a61ce6b86a9bb18572-5ece9699aeadd.jpg

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় মিলেছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরন অ্যান্থনি পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৫০)। তাদের মধ্যে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকি দুজনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তারা রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলেন। তারা সবাই প্রফেসর ড. মো. ওমর ফারুকের তত্ত্বাবধানে করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন।
বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের বর্ধিত অংশে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার পর বারিধারা ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। করোনা ইউনিটে থাকা পাঁচ জন রোগী মারা গেছেন।

আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা অন্যকোনও উৎস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ঢাকা বিভাগ) দেবাশীষ বর্ধন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের এক্সটেনশন সেটে (যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছিল) অনেক বৈদ্যুতিক তার ছিল। যেগুলো থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজন মারা গেছেন। এর বাইরে হতাহতের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমরা পাঁচ জন নিহতের তথ্য পেয়েছি।।'
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মৃতদের মধ্যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং একজন নারী। তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থাপিত তাঁবুর ভেতরে যেসব সামগ্রী ছিল এগুলো বেশি দাহ্য, যে কারণে খুব দ্রুত আগুন লেগে যায়। এখানে যারা প্রত্যক্ষদর্শী এবং রোগীর আত্মীয় ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, এখানে যে এসি ছিল সেখানে স্পার্কিং হয়। সেটা থেকেই এখানে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে থাকা উপাদান সবই দাহ্য পদার্থ ছিল। এখানে অনেক স্যানিটাইজার ছিল যা অনেক বেশি দাহ্য, এর প্রেক্ষিতে আগুন বড় রূপ নেয়। দাহ্য পদার্থের কারণে ফায়ার সার্ভিস আসার আগ পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।