পাটগ্রামে হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি

by

উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী পাটগ্রাম উপজেলায় আকষ্কিক বৃষ্টি ও প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায়  ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এ সময় বাড়িঘর, গাছ-পালা, ভুট্টা, বোরো ধান, আম ও লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে।

জানা গেছে,  উপজেলায় মঙ্গলবার (২৬ মে) সাড়ে ৮ টার সময় আকষ্মিক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। বৃষ্টির পাশাপাশি বাড়তে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। এতে উপজেলার বাউরা, কুচলিবাড়ি, দহগ্রামসহ অন্যান্য ইউনিয়নসমূহে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১০০ বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এ ছাড়াও গাছ -পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী থেমে থেমে বৃষ্টিতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে জনজীবন

বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান, পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা।
  
বাউরা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ  বলেন, ঝড়ে আমাদের বাড়ির দেয়াল ধসে গেছে। দেয়াল ধসে আমাদের ভাড়াটিয়ার গ্যারেজের দুটো মাইক্রোবাস ভেঙ্গে গেছে।

একই ইউনিয়নের কৃষক মো. আউয়াল হোসেন জানান, প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে রোদ না থাকায় আমাদের জমি থেকে তোলা  ভুট্টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবারো গতকাল রাতে ঝোড়ো বাতাসে অনেক ক্ষেতের ফসল মাটিতে শুয়ে পড়েছে। কিছু এলাকার ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি ও বাতাসে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান,  মঙ্গলবার রাতে প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গাফ্ফার বলেন, বোরো ধানের তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। কিছু জমির ভূট্টা মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তবে আম ও লিচুসহ কিছু রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।