পৌরসভায় বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি

by

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ব্যস্ততম এলাকায় কয়েকটি সড়কে উন্নয়ন ও সংস্কারের ছোঁয়া নেই। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা চলছে। সামান্য বৃষ্টি হলে জমে যাচ্ছে হাঁটু পানি।

বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতায় সড়কটি হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী। কাদা পানিতে ডুবে থাকা সড়ককে দেখে মনে হয় যেন মরা খাল। এতে অসাবধনতায় গর্তে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌরসভার পূর্ব বাইপাস মোড় থেকে বাহির গোলা মসজিদ মোড় হয়ে থানার সামন দিয়ে মীরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত চলে গেছে এ সড়ক। প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কটি দীর্ঘদিনে সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন স্থানে খোয়া উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে বেহাল চিত্র বহাল। তার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। পানি নিষ্কাশন ড্রেন কাজ শুরু হলেও তা শেষ না হওয়ায় পানি জমে তা উপচে পড়ে সড়কে।

এতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে সোনালী ব্যাংক মোড়, বাহির গোলা মসজিদ মোড়, আইডিয়াল লাইব্রেরীর সামনের বেশকিছু জায়গা। অন্যদিকে পশ্চিম বাইবাস থেকে হাসপাতাল সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। জরুরী প্রয়োজনে রোগী বহনকারী যানবহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে এ পথে চলাচল করে। সড়কটিতে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান হলেও পানি নিষ্কাশনে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাটু পানি। এতে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে পৌরবাসিকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাহির গোলা মসজিদ মোড় ও সোনালী ব্যাংকের সামনের অংশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা আরো বাড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও পৌর মেয়র আব্দুল্ল্যাহ আল-মামুন ফোন রিসিভ করেননি। তবে এরআগে তিনি বলেছিলেন, রাস্তাগুলোর পানি নিষ্কাশন করতে ড্রেণ নির্মাণ কাজ চলমান। আর সড়ক সংস্কার করতে নতুন করে টেন্ডার হয়েছে। ড্রেণ নির্মাণ শেষ হলেই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।