শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটে ঢাকায় ফিরছে হাজার হাজার মানুষ

by

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থল ঢাকায় ফেরা শুরু করেছে। করোনাকালীন সময় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মাথায় নিয়েই মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঢাকার কর্মস্থলে গতকাল ঈদের পর দিনে থেকে ফিরতে শুরু করেছে। আজও তা অব্যাহত রয়েছে।

এ নৌ রুটের লঞ্চ, সি-বোট ও মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়েই ভেঙে ভেঙে কাঁঠালবাড়ী এসে গাদাগাদী ও ঠাসাঠাসি করে ফেরিতে করে পদ্মা পারি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। এখানে এস এসব যাত্রীরা কোনো প্রকার গণপরিবহন না পেয়ে আবারো স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অটোতে করে রাজধানী ঢাকায় ফিরছে।

আজ সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এ নৌ-রুটের ফেরিগুলো যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী যানবাহনের তুলনায় ব্যক্তিগত বা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। এ সময়ে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে প্রায় তিন শ যানবাহনকে অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে। 

বিআইডব্লিটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী ও মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান ৪টি রোরো, ৪টি কেটাইপ, ২টি মিডিয়াম ও ১টি ছোটসহ মোট ১১টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌ রুটে। তবে এ নৌ রুটের পদ্মায় ঢেউ থাকায় ড্রাম বা ঠেলা ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। গেল দুদিন ধরেই ফেরিতে করে হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। তবে এখন ঢাকামুখী যাত্রীই বেশি। যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এরা করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে।