স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে বাঁধ সংস্কার

by

সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ভেঙে যাওয়া ২৩ টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারে কাজ চলছে। তবে কাজটি স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে করছেন। জোয়ারের পানি ঠেকাতে এলাকাবাসীর প্রাণপণ এই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার লেবুবুনিয়া, কাশিমাড়ির কোলা ও বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালি বাদে বাকীসব পয়েন্টের বেঁড়িবাধ গুলো পানি উন্নয়নবোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা রিংবাঁধ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাধগুলো সংস্কার করেছেন।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, সকাল থেকে উপকুলীয় এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে ঝড়ো বাতাস বইছে। এর সাথে নদনদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি আরো জানান।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর আওতাধীন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩টি পয়েন্টে স্থানীয় জনতা স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাধ দিলেও বাকী ৫টি পয়েন্টে বেড়িবাধ এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তবে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে এ সব বেঁড়িবাধ সংস্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙন কবলিত এই সকল এলাকার মানুষের দাবী ত্রাণ চাইনা, টেকসই বেঁড়িবাধ চাই।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা বেঁড়িবাধ গুলো রিং বাধ দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি পয়েন্টে রিংবাধ সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুতই বাকী পয়েন্ট গুলোর বেড়িবাঁধ রিংবাঁধের মাধ্যমে সংস্কার সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি নিজেই সেগুলো দেখভাল করছেন বলে জানান। 

তিনি আরো জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় যারা স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন তাদের জন্য ইতিমধ্যে ৫০ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।