হাসপাতাল কক্ষ, জরুরি বিভাগসহ ৬টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করলেন পুলিশ কনস্টেবল!

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/661a65084185a4e79cb1b18dce1e1580-5ece78924124e.jpg
হাসপাতালের ভেতরে ভাঙচুর

গাইবান্ধায় চিকিৎসাধীন এক পিবিআই পুলিশ কনস্টেবল তাণ্ডব চালিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও পার্কিং করে রাখা ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেছে। এসময় হাসপাতালের বিছানা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও জানালার গ্লাস ভাঙচুরসহ কর্তব্যরত চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন ওই পুলিশ কনস্টেবল।

মঙ্গলবার (২৬ মে) মধ্যরাতে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার (২৭ মে) সকালে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টবেল সাইফুল ইসলামকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। আটক সাইফুলের বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়। সাইফুল ইসলাম ঢাকায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/4b01cf3fcfea0a479f6a1cae7b5cb49c-5ece7891d1445.jpg
জানালার কাচভাঙচুর

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাতে মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ নিয়ে সাইফুলকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গভীর রাতে হঠাৎ করে সাইফুল কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। এতে বাধা দিলে হাসপাতালের ভেতরে তাণ্ডব শুরু করে সে। এসময় হাসপাতালের বিছানা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, জানালার গ্লাস ও জরুরি বিভাগের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে পুলিশের এই সদস্য। এরপর বের হয়ে হাসপাতালের সামনে পার্কিং করে রাখা ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করে সাইফুল। এসময় সাইফুলের তাণ্ডব দেখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীরা ভয়ে পালিয়ে যায়।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/32c9f018946267f5dedaa930d4dee65a-5ece7891a9d2d.jpg
জরুরি বিভাগে ভাঙচুর

এ বিষয়ে সদর হাসপাতাল আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ জানান, চিকিৎসাধীন সাইফুলের তাণ্ডব ও ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে বুধবার সকালে সাইফুলকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বোনারপাড়া থেকে সাইফুলকে হাত-পা বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/17ea52ca9a602571de66b9be3bb8b4fc-5ece789245285.jpg
অ্যাম্বুলেন্সের কাচ ভাঙচুর

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মো. শাহারিয়া বলেন, অভিযুক্ত সাইফুলকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। সাইফুল মানসিক রোগে অসুস্থ থাকায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ঘটনার বিষয়টি অভিযুক্ত সাইফুলের পরিবারসহ পিবিআই এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।