ঈদের অনুদান এখনও পায়নি ইমামরা
by মাগুরা প্রতিনিধিঈদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান এখনও হাতে পৌঁছায়নি মাগুরার ১,৮৭৬টি মসজিদের ইমামের। করোনা সংকটে এমনিতেই এবার পাননি মুসল্লিদের দান। তার ওপর সরকারি অনুদানের অপেক্ষায় কেটে গেছে ঈদ।
বুধবার (২৭ মে) অর্থাৎ ঈদের তৃতীয় দিনেও মেলেনি অনুদানের টাকা। ঈদের আগেই এই বরাদ্দ হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে টাকা পৌঁছায়নি মসজিদে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ অনুদান বাবদ মাগুরার ১,৮৭৬টি মসজিদে পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে।
মাগুরা মোল্লা পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে মসজিদে করোনা সংকটের কারণে মুসল্লিরা আসতে পারেনি। তার ওপর মসজিদে মুসল্লি কম আসায় দানও কম হয়েছে। এই অবস্থায় চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছি। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী অনুদান পাঠিয়েছেন কিন্তু তা এখনও হাতে পাইনি।’
মাগুরা সদরের শিবরামপুর পূর্বপাড়া মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ নোমান বলেন, ‘২৭ রমজান শেষে মসজিদ থেকে আমরা কিছু হাদিয়া পাই তা দিয়ে ছেলে-মেয়ের জন্য বাজার করি। এটা প্রতিবারের নিয়ম। এবার মসজিদে মুসল্লিও নেই তাদের দানও নেই। আশায় ছিলাম সরকারি অনুদান হাতে পাবো। সেটাও পেলাম না। এবারের ঈদ খুবই আর্থিক কষ্টে কাটলো।
শহরের নতুন বাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. মুক্তাদুর রহমান বলেন, ‘চেষ্টা করি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পরিবার নিয়ে যাতে স্বচ্ছলভাবে ঈদ করতে পারে। এবার করোনার কারণে গত দুই মাস মসজিদে মুসল্লিদের দান নেই। তারাবির নামাজে তেমন হাদিয়া আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুদান এসেছে জেনে যোগাযোগ করেছিলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে। জানতে পারলাম ঈদের আগে টাকা পাওয়া যাবে না। জানি না আর কতোদিন লাগবে।’
মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংক ও অফিস ছুটি থাকায় প্রশাসনিক কিছু জটিলতা ছিল। এক বা দুই দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে অনুদানের টাকা পৌঁছে যাবে। তাদের মাধ্যমে মসজিদ সভাপতির হাতে অনুদানের অর্থ দেওয়া হবে।’