একই নমুনা খুলনায় ‘নেগেটিভ’, ঢাকায় ‘পজিটিভ’

by

সাতক্ষীরায় আরও দুই নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা আইইডিসিআর থেকে সাতক্ষীরার দেবহাটা ও কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তাদের খুদে বার্তা পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। দুজনের একই নমুনা প্রথমে খুলনায় পরীক্ষা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।

দেবহাটা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, উপজেলার সখীপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূর (৪৫) জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকায় করোনা সন্দেহে ১৪ মে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ১৭ মে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। কিন্তু ওই নারীর লক্ষণ নিয়ে তখনো সন্দেহ থাকায় সেই নমুনা ঢাকার আইইসিডিআরে পাঠানো হয়। আজ বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে মোবাইলে খুদে বার্তায় জানানো হয়, ওই গৃহবধূর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ। বার্তা পাওয়ার পর ওই নারীর বাড়িসহ প্রতিবেশীদের ৯টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

 সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, বল্লী ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রের ৯ দিন আগে করোনা উপসর্গ থাকায় তার পরীক্ষা করলে পজিটিভ আসে। পরে ওই বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। ওই সময় ছাত্রের মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে প্রতিবেদন নেগেটিভ এলে সেই নমুনা আবার পাঠানো হয় ঢাকা আইইডিসিআরে। আজ দুপুরে ঢাকা থেকে খুদে বার্তায় জানানো ওই নারীর পরীক্ষার ফল পজিটিভ।

 এই চিকিৎসক আরও জানান, সদর উপজেলার আঁগড়দাড়ি ও লাবসা ইউনিয়নের দুই কলেজছাত্রের জ্বর থাকায় গত শনিবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা থেকে আসা তাদের পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুজনের করোনা পজিটিভ। রাতেই ওই দুজনের বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করা হয়।

সাতক্ষীরা সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, এই চারজন নিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলো ৩৬ জনের।