নড়াইলে খুন হওয়া কাইয়ুম খেলেছেন দেশের জার্সিতে
by বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টমঙ্গলবার রাতে নড়াইলের নড়াগাতি থানার কালিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন কাইয়ুম শিকদার। যিনি কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তার অন্য পরিচয়ও আছে। একসময় জাতীয় কাবাডি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। রেইডার হিসেবে খ্যাতি ছিল তার। এছাড়া খেলোয়াড়ি জীবন শেষে রেফারিংয়ের সঙ্গে সামলেছেন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ।
কাবাডি ফেডারেশন জানিয়েছে, ১৯৯৫ মাদ্রাজ (এখনকার চেন্নাই) সাফ গেমস কাবাডিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয় কাইয়ুমের। খেলেছেন ১৯৯৯ সাফ গেমস ও ১৯৯৮ এশিয়ান গেমসে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে রেফারি হিসেব আত্মপ্রকাশ হয় তার। ঘরোয়া প্রতিযোগিতার পাশপাশি বিদেশেও রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমস ও ২০১০ মাস্কট বিচ গেমসে রেফারিং করার অভিজ্ঞতা আছে পুলিশ দলের সাবেক এই খেলোয়াড়ের।
কাবাডি ফেডারেশনে ২০১০ সালে সদস্য হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ৪৮ বছর বয়সে সন্ত্রাসী হামলায় মারা যাওয়া কাইয়ুমের।
কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কাইয়ুম ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়া রেফারিংও করতেন। তার এমন মৃত্যু আসলেই কাম্য ছিল না।’
কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী কাইয়ুমের মৃত্যুতে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।