ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জিতে শিরোপার পথে এক ধাপ এগোল বায়ার্ন

by

ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জিতে জার্মান বুন্দেসলিগায় শিরোপা ধরে রাখার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। করোনাভাইরাসের কারণে দর্শকশূন্য ম্যাচটিতে ১-০ গোলে জিতেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

গতকাল মঙ্গলবার সিগনাল-ইদুনা পার্কে টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে আতিথেয়তা জানায় ডর্টমুন্ড। তবে চলমান আসরের প্রথম থেকেই দুর্দান্ত দাপট দেখানো ডর্টমুন্ড এদিন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ উভয় দলের মধ্যে দেখা যায়। 

খেলার প্রথমার্ধের শেষদিকে লিড নেয় সফরকারী বায়ার্ন। ৪৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক চিপে গোল করেন জশুয়া কিমিচ। ফলে ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

দ্বিতীয়ার্ধে ভালো একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ডর্টমুন্ডের হালান্ড। ৭২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেডন স্যানচোর ক্রসে পা লাগাতে গিয়ে বেকায়দায় পা পড়ে ব্যথা পান হলান্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে নিয়ে ১৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড জিওভানি রেইনাকে নামান ডর্টমুন্ডের কোচ। 

যদিও এর আগে ৫৬তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। হলান্ডের শট সামনে পড়ে যাওয়া ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেংয়ের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। কিন্তু সেটি রেফারির চোখে না পড়ায় এবং দলের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন না করায় পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করে ডর্টমুন্ড।

শেষদিকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারলে দলকে ২-০ ব্যবধানে জেতাতে পারতেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। কিন্তু তার দূরপাল্লার শটটি পোস্টে বাধা পায়। 

চলমান আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৭ গোল করেছেন লেভান্ডোভস্কি। 

বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় দারুণ এক জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে হান্স ফ্লিকের দল।

এ জয়ের পর ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও চার ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট দাঁড়াল ৬৪। দুইয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৫৭।