যুবককে 'নিগ্রো' বলে চাকরি হারালেন মার্কিন নারী

by

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল পার্কে শ্বেতাঙ্গ একজন নারী পুলিশকে ফোন করে জানান, আফ্রিকান-আমেরিকান নিগ্রো এক ব্যক্তি তার এবং তার কুকুরের প্রাণের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই ঘটনাটি কৃষ্ণাঙ্গ ওই যুবক নিজের মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই নারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

জানা গেছে, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ক্রিস্টিয়ান কোপার পাখি নিয়ে গবেষণা করেন। পাখি দেখার জন্যই তিনি পার্কে গিয়েছিলেন। ওই সময় এমি কোপার নামে শ্বেতাঙ্গ এক নারী সঙ্গে কুকুর নিয়ে গিয়েছিলেন।

তবে তার কুকুরের গলায় কোনো বেল্ট লাগানো ছিল না। ছেড়ে দেওয়া কুকুর ইচ্ছেমতো দৌড়াদৌড়ি করছিল। তা নিয়ে ক্রিস্টিয়ান কোপার ওই নারীকে সতর্ক করেন।

এরপর ওই নারী পুলিশকে ফোন করে বলেন, আফ্রিকান-আমেরিকান কালো মানুষ তাকে এবং তার কুকুরকে প্রাণের হুমকি দিচ্ছে। তাদের বাঁচাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।

আর ওই ঘটনা ভিডিও করে রাখেন ক্রিস্টিয়ান কোপার। তবে ভিডিওতে কোনো রকম ভীতিকর পরিস্থিতি দেখা যায় না। বর্ং ওই নারীই ছিলেন মারমুখী। আর সেটার জেরেই ওই নারীর সমালোচনা শুরু হয়।

ক্রিস্টিয়ান কোপার বলেন, আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যখন কৃষ্ণাঙ্গদের একের পর এক টার্গেট করা হচ্ছে। সেজন্য ভিডিওটি করে রেখেছিলাম।

অন্যদিকে এমি কোপার বলেন, একা পার্কের মধ্যে ভয় পেয়ে ওইসব কথা বলেছি। আমি বর্ণবাদী নই। আমার কথার জন্য আফ্রিকান-আমেরিকান সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।

তবে এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জেরে ওই নারীকে ছুটি দিয়েছিল তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। পরে গত মঙ্গলবার তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

সূত্র : সিএনএন