দেশের ক্রীড়াঙ্গনে করোনার থাবা

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/800x0x1/uploads/media/2020/05/27/e6f4969ff154f9691a984674c0feb8d2-5ece2d15260a7.jpg
উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কারাতে ফেডারেশনের সদস্য হুমায়ুন কবীর জুয়েল (বায়ে), আক্রান্ত বিওএ’র সাবেক মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেও থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস। ক্রমশ তা বাড়ছে। কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কারাতে ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য হুমায়ুন কবীর জুয়েল। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সাবেক মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও বাফুফের সাবেক সদস্য কর্নেল (অব:) ওবায়েদউল্লাহ।

বিশিষ্ট শিল্পপতি কুতুবউদ্দিন আহমেদ বিএও’র মহাসচিবই শুধু ছিলেন না, ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কও ছিলেন। এছাড়া এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

৬৪ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রীড়া সংগঠক গত ২৩ মে থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তার ব্যবসায়িক অংশীদার ও এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাম মুর্শেদী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘কুতুব ভাইয়ের সঙ্গে আজও কথা হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। যদিও তার শ্বাসকষ্ট আছে। আশা করছি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

বর্ষীয়ান সংগঠক ওবায়েদউল্লাহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি একসময় ছিলেন ফুটবলার, খেলতেন উইংয়ে। তারপর সংগঠক হিসেবে বাফুফে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

হাসপাতাল থেকে ৭৪ বছর বয়সী এই সংগঠক বলেছেন, ‘আগের চেয়ে সুস্থ অনুভব করছি। যদিও খেতে কষ্ট হয়। সবকিছুই কেমন যেন গন্ধ লাগে। আশা করছি দ্রুত বাসায় ফিরতে পারব।’

এদিকে কারাতে ফেডারেশনের সদস্য ও এশিয়ান কারাতে ফেডারেশনের রেফারি হুমায়ুন কবীর জুয়েল করোনা উপসর্গ নিয়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ এসেছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫২ বছর বয়সী কারাতে সংগঠক ঈদের দিন সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে জুয়েল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেই সময় তার শ্বাসকষ্ট ছিল। যদিও পরীক্ষাতে করোনা নেগেটিভ আসে। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেটে করোনার উপসর্গের কথা লেখা হয়েছে।’