পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন আফ্রিদি, দাবি কানেরিয়ার

by
https://cdn.banglatribune.com/contents/cache/images/750x0x1/uploads/media/2020/05/27/e9d9ad95c277298f571590ca3940ad7e-5ece31f6f2df5.jpg
দানিশ কানেরিয়া ও শহীদ আফ্রিদি

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই তো কিছুদিন আগে শহীদ আফ্রিদি গিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানে গিয়ে ভারতে ধর্মীয় সহিংসতা চালানোর দায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন। পাকিস্তানের এই ক্রিকেট তারকার বক্তব্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে ভারতের ক্রিকেট সমাজে। যে যুবরাজ সিং ও হরভজন সিং করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে আফ্রিদি ফাউন্ডেশনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তারাই আফ্রিদির সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন। শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না ও গৌতম গম্ভীররা তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন আফ্রিদির। আফ্রিদি পরে এমনটাও বলেছেন যে ভারতের জনগণ নিপীড়িত, তাই হরভজন ও যুবরাজ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন।

এবার আফ্রিদির সাবেক পাকিস্তান সতীর্থ দানিশ কানেরিয়া ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জন্য তার সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার কানেরিয়া বলেছেন, আফ্রিদির এই মন্তব্য দেশের ক্রিকেটকে বাজে অবস্থায় ফেলবে। ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলা উচিত নয় আফ্রিদির। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতকে নিয়ে এমন ঔদ্বত্যপূর্ণ কথা বলেন না, ভবিষ্যতেও বলবেন না। তার কাছ থেকেই আফ্রিদির এটা শেখা উচিত এবং তার জানা উচিত কথা বলতে হয় নির্দিষ্ট সীমা মধ্যেই’- সম্প্রতি ইন্ডিয়া টিভিকে বলেছেন কানেরিয়া।

পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার মনে করেন, এমন বক্তব্য-মন্তব্যের মাধ্যমে তার সাবেক সতীর্থ পাকিস্তানের ভাবমূর্তিই ক্ষুন্ন করছেন, ‘যেকোনও বিষয় সম্পর্কে কথা বলার আগে আফ্রিদির ভেবে নেওয়া উচিত। সে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে চায়, তাহলে ক্রিকেটটা ছেড়ে দিক। আপনি ক্রিকেটে থেকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন না। তার এই মন্তব্য ভারত ও পুরো বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের নেতিবাচক ভাবমূর্তির জন্ম দিয়েছে।’

ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আফ্রিদির মন্তব্যে সবচেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যুবরাজ সিং ও হরভজন সিং। কেননা ভারতের সাবেক এই দুই ক্রিকেটার চলমান করোনাভাইরাস-সংকটে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আফ্রিদির ফাউন্ডেশনকে সাহায্য করেছেন। এই প্রসঙ্গে কানেরিয়ার কথা, ‘এটা ঠিক নয়, তুমি প্রথম সুযোগেই তাদের কাছ থেকে সাহায্য চাইবে, আবার তাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিষ ঢালবে। কেমন বন্ধুত্ব তুমি চাইছো?’