দীর্ঘদিন না চললে সমস্যা হতে পারে রেল ইঞ্জিনের
by নাজমুস সালেহীদীর্ঘ সময় চালু না থাকলে রেলের ইঞ্জিনের বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই লকডাউনের পর যাতে সমস্যা দেখা না দেয় সেজন্য নিয়মিত চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। তবে মেরামত যন্ত্রাংশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণে বেগ পেতে হচ্ছে মেকানিকদের।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি ইঞ্জিনই সচল রয়েছে। রেলসেবা চালু হলে সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা প্রস্তুত।
কমলাপুর লোকশেডে স্টার্ট বন্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে ট্রেনের ইঞ্জিন। একটি ইঞ্জিনের অর্থনৈতিক জীবনকাল ২৫ বছর হলেও এখানে আছে ৪০/৪৫ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিনও। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলে এসব ইঞ্জিন আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা মেকানিকদের।
তবে লকডাউনের এই সময় ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণে সীমিত আকারে চালু রয়েছে লোকশেড ও ওয়ার্কশপ।
প্রাথমিক এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী ভারী মেরামতের কাজও চলছে কমলাপুর লোকশেডে। তবে যন্ত্রাংশের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে মেকানিকদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেন চলাচল শুরু হলে সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত আছে সব'কটি ইঞ্জিন।
যান্ত্রিক প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, যদি আজকে থেকে অর্ডার আসে কাল থেকে ট্রেন চালাতে হবে, সেক্ষেত্রে আমাদের চালাতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দিক থেকে।
২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, তবে সীমিত আকারে চলছে পণ্যবাহী ট্রেন।