হাজীগঞ্জে শায়িত হলেন এমএ মতিন

by

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বাবা মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মতিন। 

মঙ্গলবার বাদ আছর হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় এলাকায় দুই দফা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা অংশ নেন। 

এর আগে সকালে এমএ মতিনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে জানাজার প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে পরিবেশ অনুকূল নয়। প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হলে তা থেকে সরে আসেন এমএ মতিনের সমর্থকরা।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানী ঢাকা উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এমএ মতিন (৯০)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। 

দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবন এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এমএ মতিনের দুই দফা জানাজা হয় অনুষ্ঠিত হয়। 

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-৫ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী  হিসেবে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমএ মতিন। টোরাগড় এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া এমএ মতিন তার কর্মজীবনের শুরুতে একজন গুণী শিক্ষক ছিলেন। পরে স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি এবং একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার বাবা জুনাব আলী মুন্সী এবং এক চাচা বৃটিশ আমলে বৃহত্তর কুমিল্লা ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের মেম্বার ছিলেন। এলাকার শিক্ষাবিস্তার ও সামাজিক উন্নয়নে তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে।           

শুরু থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই মানুষটিকে তার এলাকার সবাই মতিন স্যার বলে সম্বোধন করতেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য দলীয় সমর্থক রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক শোক প্রকাশ এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক এমএ মতিনের মৃত্যুতে আরো শোক প্রকাশ করেছেন, চাঁদপুর-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (মেজর) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, রাজনীতিতে আমরা একজন গুণী মানুষকে হারালাম। এলাকার মানুষ আজীবন এই মানুষটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন।