কঠোর লকডাউনের সময় এখনই
by রাশেদ লিমনএকদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে শিথিল অঘোষিত লকডাউন- এরই মধ্যে শেষ হচ্ছে সাধারণ ছুটি। তাহলে এরপরে কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে পুরোপুরি সুফল মিলছে না অঘোষিত লকডাউনের।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, ঈদের পরের সময়ে মন্থর অর্থনীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে হতে পারে কঠোর লকডাউনের উত্তম সময়। আর কর্তৃপক্ষের সোজা জবাব অবস্থা বুঝেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।
করোনাকালের ৮০ দিন পেরিয়ে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হয়ে গেল ঈদ। অচেনা এই ঈদের আগেও ঢল ছিলো বাড়ি ফেরায়। এই ঈদটা বাড়িতে থাকার কথা থাকলেও অনেকেই রাখেননি সেই কথা। আবার উদাসীনতা স্বাস্থ্যবিধি মানতে কিংবা মানাতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রোগীর হার বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ২২ মে থেকে ২৪ মে শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ আর সব শেষ মঙ্গলবার(২৬ মে) এই সংখ্যা সর্বোচ্চ ২১.৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ছয় দফায় বাড়িয়ে সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ মে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এত কিছুর পরে হিসাবের খাতায় কি জমা হলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই মাসের ছুটির সুফল ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পরিকল্পনায় দরকার আরো দূরদর্শিতা।
অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত অনেক সুপরিকল্পিত এবং যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক সেটা যেন বাস্তবায়ন করা হয়।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান বলেন, অঘোষিত লকডাউন দিয়ে দু’মাস যে আমরা নষ্ট করেছি। কিন্তু স্ট্রিকলি এর ফল আমরা পাইনি।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, ঈদের পরের এই সময়টাতে এমনিতেই কিছুটা মন্থর থাকে অর্থনীতি, তাই এই সময়টা কাজে লাগিয়ে হতে পারে কঠোর লকডাউনের উত্তম সময়।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, অর্থনীতি কর্মকাণ্ড ১৫ দিন একেবারেই কম রেখে তারপর থেকে এই কর্মকাণ্ড কিভাবে যাবে এসব ভাবতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে। জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ের কথা ভেবেই পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মানুষের কল্যাণে সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে সকলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের জানালে আপনাদের জানাবো।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার ঘোষণা আসতে পারে পরবর্তী সিদ্ধান্তের।