রাত থেকে তীব্র ঝড়-বৃষ্টি রাজধানীতে, ভেঙে পড়েছে গাছ
by সময় নিউজ প্রতিবেদকরাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) দিনগত রাত এবং বুধবার (২৭ মে) ভোরে তীব্র গতিতে ঝড় আঘাত হানে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গাছ দুমড়ে-মুচড়ে পড়তে দেখা গেছে। এসময় সাধারণ যানবাহনের চলাচলে ব্যহত হয়।
দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। ঈদের দিন অর্থাৎ ২৫ মে থেকে তিন দিন চার সমুদ্র বন্দরে দেখাতে বলা হচ্ছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।
একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে শুরু হয় ঝড়। এরপর টানা প্রায় আধা ঘণ্টা তুমুল বেগে ঝড়ো বাতাস ও বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। পরে কমে আসে ঝড়ের বেগ। একই ধরনের ঝড় হয়েছে বুধবার (২৭ মে) ভোর সোয়া ৬টার দিকে। মধ্যরাতের তুলনায় ভোরে বাতাসের গতিবেগ বেশি ছিল। ২০-২৫ মিনিট ধরে চলে তাণ্ডব।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, 'উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে একটি লঘুচাপ রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।'
অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।