কোয়ারেন্টিনে চাঁদরাত এবং ঈদ
by মো. ইয়াকুব আলী, সিডনী (অস্ট্রেলিয়া) থেকেকরোনাভাইরাসে বিশ্বের জীবনযাত্রা বদলে গেছে। এতোদিনে প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসলেও এখন পর্যন্ত জীবনপ্রণালি স্বাভাবিক হয়নি। এখনো প্রায় প্রতিটি দেশেই সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে কড়া নিয়মে। অবশ্য বিশ্বের সব প্রান্তেই এর মধ্যেও কিছু মানুষ কোয়ারেন্টিন, সেল্ফ আইসোলেশন, সামাজিক দূরত্বের মতো ব্যাপারগুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়াতে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসাতে নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এখন একটা পরিবার অন্য একটা পরিবারে সঙ্গে দেখা (ভ্রমণ) করতে পারবে তবে হাইজিন মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পয়লা জুন থেকে পাবগুলো খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তবে জনসমাগম অনুর্ধ ৫০ রাখতে বলা হয়েছে। আর ২৫ মে থেকে স্কুলগুলোও খুলেছে। এর মধ্যে দিয়েই বয়ে চলেছে জীবন। এক মাসের রোজার শেষে খুশির ঈদ গেল। তবে খুশি প্রকাশ করার ব্যাপারেও নিয়ম মানা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়াতে কোনো দিন ঈদ পালন করা হবে সেটা নিয়ে প্রতিবছরই একটা সমস্যা তৈরি হয়। মতভেদে কখনও একদিন আবার কখনও দুই তিন দিন মিলিয়ে ঈদ পালন করা হয়। তাই মুসলিম কমিউনিটি এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে ছুটি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানকার মুসলিম কমিউনিটি বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসনের আশায় এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলেও নিজ দেশের আচার এবং উৎসব সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে। আর অস্ট্রেলিয়ার সরকারও সেটাকে উৎসাহিত করে। বিভিন্ন দেশের আচার এবং উৎসব বছরব্যাপী পালন করা হয় আর তখনই অস্ট্রেলিয়া সত্যিকার অর্থে একটা মাল্টি কালচারের দেশে পরিণত হয়। লেবানন, তুর্কি, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত মুসলিমরা তাই এখনো নিজ নিজ দেশের ইসলামি সংস্কৃতি ধরে রেখেছেন। কেউবা ঈদ পালন করেন সৌদি আরবের সঙ্গে সরাসরি আবার কেউ অনুসরণ করেন মুন সাইটিং পঞ্জিকা। আর বাংলাদেশে যেহেতু চাঁদ দেখে ঈদ করার চল তাই এখানকার বাংলাদেশিদের অধিকাংশই এখনো চাঁদ দেখেই পবিত্র ঈদ পালন করেন।
সামাজিক নিরাপত্তার কারণে এবার ঈদের নামাজ জামাতে পড়া সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ মানুষই পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘরোয়াভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। অবশ্য অনেকেই কয়েকটা পরিবার মিলে এক জায়গায় হয়ে ছোট ছোট জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আর ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও মানা হয়েছে নিয়ম। একটা পরিবার কোনো বাসায় বেড়াতে আসলে অন্য আরেকটা পরিবার এসে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেছেন, তারপর ওই পরিবার বেরিয়ে গেলে উনারা এসেছেন। এভাবেই পালিত হলো এইবারের ঈদ। অবশ্য বরাবরই আমরা আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দ করেছি। প্রবাস জীবনে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় অবলম্বন হচ্ছে দেশের স্মৃতি। যার দেশের স্মৃতি যত দীর্ঘ এবং মধুর প্রবাসে তার জীবনযাপন ততটাই সহজ বলে আমার মনে হয়। কারণ দুঃসময়ে এই স্মৃতিগুলো এগিয়ে চলার শক্তি জোগায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাচ্চাদের মধ্যে আমাদের আটপৌরে শৈশব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি, ওরা যেন বড় হয়ে একাকিত্ব এবং বিষণ্ণতায় না ভোগে।
শনিবার চাঁদ না দেখা যাওয়াতে আমরা বাড়তি কিছু সময় হাতে পেয়ে গেলাম। শনিবার একদিকে যেমন ছিলো সূর্যের আলো অন্যদিকে ছিলো ঠান্ডা ঝোড়ো বাতাস। গিন্নি কোনভাবেই বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে যেতে রাজি ছিলো না। কিন্তু সকাল থেকেই আমাদের চার বছরের ছেলে রায়ান সাইকেল বলে চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলো তাই অবশেষে সাইকেল এবং বাচ্চা দুটোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাসার পাশেই একটা খোলা জায়গা আছে নাম 'পাসফিল্ড পার্ক' কিন্তু সেখানে কোন খেলার সরঞ্জাম নেই। কিছুদিন আগে ফাঁকা মাঠটার মধ্যে প্রশস্ত কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই মানুষজন সকাল-বিকেল হাটাহাটি করেন আর বাচ্চারা সাইকেল চালায়। সেদিন ঠান্ডা বাতাসের কারণেই হয়তোবা মানুষের আনাগোণা ছিলো উল্লেখযোগ্যভাবে কম। দুজন নারী হাটাহাটি করছিলেন। আমরা উনাদের চিনি। এই সময়ে পার্কে আসলেই উনাদের সঙ্গে দেখা হয়। উনারা রায়ানকে অনেক আদর করেন। রায়ান শুরুতে একটু আড়ষ্ট থাকলেও এখন অনেক স্বাভাবিক হয়ে গেছেন উনাদের সঙ্গে। পার্কে পৌঁছেই দু ভাইবোন সাইকেল চালাতে শুরু করলো।
হঠাৎ খেয়াল করে দেখি পার্কের গাছগুলোর মধ্যে পাইন গাছের একটা খোলা পড়ে আছে। পাইন গাছের খোলাটা দেখতে বাংলাদেশের সুপারি গাছের খোলার মতো, কিন্তু আকারে বেশ বড়সড়। আমি দৌড় দিয়ে সেটা কুড়িয়ে এনে তাহিয়াকে দেখাতেই সে খুশি হয়ে গেল। খোলার মধ্যে কিছু পানি জমেছিলো আগের রাতের বৃষ্টির কারণে। আশেপাশে খুঁজে কাটা শুকানো ঘাস এনে খোলাটা পরিষ্কার করে ফেললাম। রায়ান সবার আগে খোলাটার মধ্যে বসে পড়ল। এরপর তাহিয়া রায়ানের সঙ্গে যোগ দিলো। আমি ওদের দুজনকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে গেলাম। এরপর রায়ানকে বসিয়ে তাহিয়া বেশ কিছুসময় সেটা টেনে নিয়ে বেড়ালো। তাহিয়ার দেখাদেখি রায়ানও তাহিয়াকে খোলার উপর বসিয়ে কয়েকবার টানার চেষ্টা করে থেমে গেলো। আমি ওদের দু ভাইবোনকে টানার সময় নারীদের একজনের দিকে মোবাইলে এগিয়ে দিয়ে ভিডিও করতে বললাম। উনি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো ছবি তুুলে দিলেন। ভিডিও করে দিলেন। এভাবেই আমরা প্রায় দুপুর পর্যন্ত খেলাধুলা করে বাসায় ফিরেলাম। গিন্নি ততক্ষণে পরের দিনের ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে রান্না বসিয়েছেন। আমরাও এসে তাঁর সঙ্গে হাত লাগালাম।
আমাদের পরিবারে ঈদের আনন্দের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে একেবারে উৎসব করে চাঁদ দেখা। বিজ্ঞানের কল্যাণে ইদানিং সবকিছুই সহজ হয়ে গেছে কিন্তু তবুও আমরা আনন্দটুকু ধরে রাখতে চাই। শুরুতেই গুগল করে বের করলাম কোনদিন চাঁদের কতখানি ক্রেস্ট দেখা যাবে। শনিবার চাঁদের ক্রেস্টের পরিমাণ ছিলো শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। তার মানে কোনভাবেই খালি চোখে দেখা সম্ভব না তাই আমরা চেষ্টাও করিনি দেখার। অবশ্য অনেকেই এই হিসেব মেনে পরদিন রোববার ঈদ পালন করেছেন। রোববার চাঁদের ক্রেস্টের পরিমাণ ছিলো দুই দশমিক দুই শতাংশ। তাই আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম। দিনের সব কাজ শেষে ইফতারের সময় শুধু একটা খেজুর মুখে দিয়ে আমি আর তাহিয়া মিন্টো সাবার্বের সবচেয়ে উঁচু পার্ক কিগমন্ট রিজার্ভে চলে গেলাম। সেখান থেকে সামনের আকাশটা পুরোপুরি দেখা যায়। আর সামনের বাড়িঘরগুলোকে মনে হয় অনেক নিচে।
গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া ছিলো বৈরি। থেমে থেমে বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস সেই সঙ্গে আকাশে ছিলো কালো মেঘের ঘনঘটা কিন্তু রোববার বিকেলে মেঘ কেটে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেল। শুধু পশ্চিম আকাশে দিগন্তরেখার কাছাকাছি কিছু কালো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল। তাই আমাদের ভয় হচ্ছিলো চাঁদ মামা আবার না ওই কালো মেঘের নিচে লুকায়। আমরা কিগমন্ট রিজার্ভে পৌঁছেই পশ্চিম আকাশে সতর্ক দৃষ্টি রাখছিলাম। কিন্তু কোনভাবেই চাঁদ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি আবারও গুগল করে চাঁদ কোন এংগেলে দেখা যাবে সেটা দেখে নিলাম। তারপর আবারও একটা কম্পাসের অ্যাপ ইন্সটল করে নিলাম। রোজা শুরুর চাঁদ দেখার জন্য একবার ইন্সটল করেছিলাম পরে ডিলিট করেছি। এবার কম্পাসের দিক অনুযায়ী ভালোমতো তাকাতেই চাঁদমামার দেখা পাওয়া গেল। একটা তারার বরাবর ঠিক উপরে একেবারে কাস্তের মতো সরু চাঁদ দেখা যাচ্ছে। খালি চোখে পরিষ্কার দেখা গেলেও মোবাইলের ক্যামেরায় কোনভাবেই ধরা যাচ্ছিল না। আর জুম করলেই ছবি ফেটে যাচ্ছিলো তবুও বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। চাঁদ দেখেই বাসায় গিন্নিকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম। বন্ধু আসাদকে ফোন দিলাম যাতে ওরাও সপরিবারে দেখতে পারে।
চাঁদ দেখে ফেরার পথে মিন্টো মার্কেটপ্লেস থেকে তারাবাজি যেটাকে ইংরেজিতে বলে স্পার্কলি আর গ্লোয়িং স্টিক কিনে নিলাম। বাসায় ফিরে আনুষঙ্গিক কাজ সেরে আমরা বন্ধু আসাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে দিলাম। আসাদ আমি বুয়েটে একই বিষয়ে পড়লেও তখন পরিচয় হয়নি। আমরা একই হলে থাকতাম। এরপর সিডনি এসে ওর সঙ্গে পরিচয় এবং দ্রুতই বন্ধুত্ব। ওর গিন্নি কুমু ভাবি এবং আমার গিন্নি একই ব্যাচের। সেদিক দিয়েও একটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া গেছে। উপরন্তু আমাদের মেয়ে তাহিয়া এবং ওদের মেয়ে সামিহা একই শ্রেণীতে পড়ে আর আমাদের ছেলে রায়ান এবং ওদের মেয়ে তুফা সমবয়সী। আর ওদের মেজো ছেলেও আফিফও রায়ানের সাথে খেলাধুলা করে তাই সবমিলিয়ে পারিবারিক বন্ধনটা অনেক দৃঢ়। তাই ওদের বাসায় গেলে আমাদের এক ঢিলে সব পাখি মারা হয়ে যায়। আসাদ এবং কুমু ভাবীদের বাসা বেড়ানো মানে আমাদের জন্য একটা পরিপূর্ণ ভ্রমণ। আমি আর আসাদ বসে যাই অন্যদিকে আমার গিন্নি আর কুমু ভাবি বসে যান আড্ডা দিতে। তাহিয়া বসে যায় সামিহার সঙ্গে আর রায়ান, তুফা এবং আফিফ সারা বাসময় লাফালাফি করে বেড়ায়। অবশ্য প্রায়শই আমরা সবাই মিলে বসেও আড্ডা দিই।
সারাদিন এমনিতেই ঠান্ডা ঝড়ো বাতাস বইছিলো সন্ধ্যার পর সেটা আরো ঠান্ডা হয়ে গেল। আসাদদের বাসার পিছনে অনেক বড় খোলা জায়গা। পরিকল্পনা করা হলো সেখানেই তারাবাজি জ্বালানো হবে। তার আগেই তাহিয়া সবাইকে দুটো করে গ্লো স্টিক দিয়ে দিলো। বাচ্চারা সেগুলো দিয়ে কেউ মালা বানালো আবার কেউ চুরি বানালো আবার কেউই শুধু লাঠির মতো করে হাতের ধরে রাখলো। আর কুমু ভাবি একটা সৌখিন মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলেন বারবার আগুন জ্বালানোর সমস্যা এড়ানোর জন্য। আমরা সেটা উনাদের বাসার পিছনের খোলা জায়গায় টেবিলের উপর রেখে একসাথে পাঁচটা করে তারাবাজি জ্বালিয়ে পাঁচজন বাচ্চা তাহিয়া, সামিহা, আফিফ, রায়ান এবং তুফার হাতে দিচ্ছিলাম। ওরা ওদের মতো করে সেগুলো নিয়ে লাফালাফি ঝাপাঝাপি করে যেই শেষ হয়ে যাচ্ছিলো সেই আমাদের কাছে ফিরে ফিরে আসছিলো পরের রাউন্ডের জন্য।
এভাবে সব তারাবাজি পোড়ানো হয়ে গেলে বাচ্চারা সবাই পপ-আপগুলো নিয়ে পড়লো। একটা ছোট কাগজের শিশির একদিকে একটা সুতা বের করা। সেটা ধরে সজোরে টান দিলেই শিশির পিছনের অংশটা সশব্দে খুলে যেয়ে পাতলা কাগজের টুকরো উড়ে যায়। পপ-আপ শেষ হয়ে গেলে আমরা বাসার ভিতরে ফিরে আসলাম। বাসার মধ্যে ফিরে শুরু হয়ে গেলো বেলুন ফোলানো। একটা প্যাকেটের মধ্যে লাল, কালো, কমলা, গোলাপি, বেগুনী, নীল সব রকমের বেলুন ছিল। আমরা সেগুলো ফুলিয়ে মুখে গিট দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছিলাম আর বাচ্চারা সেগুলো নিয়ে খেলছিল। এভাবে বেলুন ফোলাতে ফোলাতে একসময় ঘরভর্তি হয়ে গেল বিভিন্ন রঙের বেলুন দিয়ে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিলো যেন কিছু সময়ের জন্য রংধনুর দেশে চলে গিয়েছি। বেলুনের পর্ব শেষ হওয়ার পর শুরু হলো মেয়েদের হাতে মেহেদী দেওয়ার পর্ব। কুমু ভাবি সযত্নে তাহিয়া এবং সামিহার দুই হাত ভর্তি করে মেহেদী দিলেন। মেহেদী দেওয়া শেষ হলে খাবার পর্ব। লাফালাফি ঝাপাঝাপি করার ফলে সবারই ক্ষুধা লেগেছিল। সবাই কুমু ভাবীর রান্না করা ভাত তরকারি হালুম হালুম করে খেয়ে নিলো। এভাবেই কখন যে মাঝরাত গড়িয়ে গেছে আমরা খেয়াল করিনি। আমরা বিদায় নিয়ে বাসার পথ ধরলাম।
ফেরার পথে গাড়ির মধ্যে তাহিয়া বলছিলো, এটা ওর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় চাঁদ রাত। কারণ অনেক মজা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের দিনে ওদের এমন আনন্দ দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছিলো। মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম বন্ধু আসাদ আর কুমু ভাবিকে আমাদের এসব পাগলামোকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য। আমি নিশ্চিত সেদিন বাচ্চারা অনেক আনন্দ নিয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলো। ওদের ভাবনায় কাজ করবে পরেরদিন ঈদ এবং মনে মনে আরো অনেক পরিকল্পনা করবে ঈদ নিয়ে।