পাগলা হাওয়ার পর বাদলের ঝরো ঝর
by নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকামাতাল হাওয়ার ঢেউ ছিল সন্ধ্যা থেকেই। মাঝেমধ্যে পাগলা হাওয়ার ঝাপটা। এরই মধ্যে শুরু হলো মেঘের গর্জন। পিলে চমকানো বজ্রপাত। রাজ্যের মেঘ জমিয়ে কালো হয়ে থাকা আকাশটা শেষে কেঁদেই ফেলল।মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে শুরু ঝরো ঝরো বাদল। আজ বুধবার সকালেও বিরাম নেই।
আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে, ১৪৫ মিলিমিটার।বৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমেেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।